হুইলচেয়ারে খালেদা জিয়া ও খন্দকার মোশাররফ, আবেগঘন পরিবেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১২:৩৩ পিএম
শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য গত সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরে শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
এদিকে এভারকেয়ার হাসাপাতাল থেকে বিদায় নেওয়ার সময় হুইলচেয়ারে বসে খালেদা জিয়াকে দেখতে ছুটে আসেন স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, সেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাদের দুজনের চিকিৎসাও চলছিল হাসপাতালটির একই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে। খালেদা জিয়া যেদিন মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তার পর দিন বিকালে মোশাররফ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
অসুস্থ হলেও দলীয় প্রধান হাসপাতাল ছাড়ছেন— এমন খবরে তাকে দেখতে ছুটে এসেছেন সাবেক মন্ত্রী ও দলের বর্ষীয়ান নেতা ড. মোশাররফ হোসেন। শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় তাকে বিদায় দিতে আসতে হয়েছে হুইলচেয়ারে করে। অন্যদিকে আপাতত হাসপাতাল ছাড়লেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেগম খালেদা জিয়াও হাসপাতাল ছাড়েন হুইলচেয়ারে করে।
শনিবার বিকালে চিকিৎসা নিয়ে খালেদা জিয়া যখন হাসপাতাল ছাড়েন, তখন তাকে বিদায় জানাতে আসা ড. মোশাররফ হোসেনের দেখা হয় লিফটের সামনে। ছেলে খন্দকার মারুফ হুইলচেয়ারে করে দলীয় প্রধানের সামনে নিয়ে এলে সেখানে এক ধরনের আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এ সময় ড. মোশাররফ হোসেন হাত তুলে বেগম খালেদা জিয়াকে সালাম জানান। খালেদা জিয়াও হাত তুলে সালামের জবাব দেন এবং ড. মোশাররফকে বিদায় দিয়ে গুলশানের বাসার দিকে যাত্রা শুরু করেন।
এদিকে দলের নেতাকর্মীদের অনেকে দুই নেতার এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ এটাকে দুর্লভ ছবি বলেও আখ্যা দেন।
এর আগে সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র নিয়ে শনিবার রাতে বাসায় ফিরেছেন। আপাতত বাসায় তার চিকিৎসা চলবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন।