সরকারের প্রশ্রয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একের পর এক হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নওগাঁওয়ে একজন সাধারণ মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। যিনি চাকরি করে তার ছেলেকে মানুষ করছেন। এখন তারা এটাকে অস্বীকার করছে। অবৈধ সরকারের বেআইনি আদেশ পালন করতে গিয়ে এ ঘটনাগুলো ঘটেছে। র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও যখন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, তখন তারা আবার প্রশ্রয় পেয়েছে। তারা একটার পর একটা হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে চলেছে।

রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে মঙ্গলবার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে নওগাঁওয়ে র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে এ সভা ও ইফতার মাহফিল হয়। এতে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে আছে। প্রায় এক যুগেরও বেশি এ দেশের মানুষকে তারা গুম-হত্যা-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করে রেখে একদলীয় শাসন অর্থাৎ বাকশাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছে।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আন্দোলন যখন শুরু করেছি তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের ১৭ নেতাকর্মী-বন্ধু-ভাই রাজপথে প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৬০০ মানুষ গুম হয়েছেন। হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যে দানবীয় শাসন আমাদের ওপর চেপে বসেছে, তাকে অবিলম্বে সরাতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তারেক রহমান আবার আমাদের মধ্যে ফিরে এসে নেতৃত্ব দেবেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, ইফতার অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির অ্যাডভোকেট রহমান আকরাম মিয়া ও দীপু হায়দার খান। এ ছাড়াও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ কৃষক দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।