খালেদা জিয়া বেইমানি জানেন না: গয়েশ্বর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম
ছবি-যুগান্তর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনযুদ্ধ, গণযুদ্ধ, গণতন্ত্রের জন্য যে যুদ্ধ- আশা করি বেইমানি করবেন না। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বিএনপি বেইমানি করবে না, খালেদা জিয়া এখনো জীবিত। তিনি বেইমানি জানেন না, আপস জানেন না। সে কারণেই তার কপালে এত কষ্ট। তারেক রহমানের বেইমানি করার সুযোগ নাই, আঁতাত করারও সুযোগ নাই। কারণ তার জীবন-মরণ মাতৃভূমিকে ঘিরে।
তিনি বলেন, সরকারের বিদেশি বন্ধুরা কিছু কিছু দেনদরবার কেনাবেচা করে থাকে। সত্য-মিথ্যা জানি না, কানে আসে। সুতরাং কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত। কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এবং জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর প্রমুখ।
অলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
গয়েশ্বর বলেন, আমার বই লেখার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এখন মনে হয় আমার কথাগুলো বলতে হবে। তাই আমি বই লিখব। আজকে সূচনার কিছু কথা বললাম। কারণ আমি আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকে চিনি তাজউদ্দীন থেকে শুরু করে। কথাগুলো সবার জানা দরকার।
শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভোট চুরি যদি অপরাধ বুঝতে পারেন তাহলে মানে মানে কেটে পড়ুন। সত্যি কথা বললে দেশদ্রোহী, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই অপরাধ।
গয়েশ্বর রায় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু স্বাধীন দেশে আমরা গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে দরকার নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার। এ লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনে রয়েছি। বিরোধী দলগুলোসহ জনগণ সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। হয় আমরা মরব, না হয় দাবি আদায় করব। সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত।