নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে মানুষের মনোবল তত দৃঢ় হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম
ছবি-যুগান্তর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সেই চেতনাকে তারা বেমালুম গিলে খেয়ে ফেলেছে। নষ্ট করে ফেলেছে, ধ্বংস করে ফেলেছে।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা মুক্ত সমাজ, একটা গণতান্ত্রিক সমাজ। সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। সেই সংগ্রামে ইতোমধ্যে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাতবরণ করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বড় ব্যর্থতা তারা এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে৷ দুর্নীতিতে খেয়ে ফেলেছে। বিচার বিভাগকে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না৷ রাষ্ট্রের সব জায়গায় দলীয়করণ করে ফেলেছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপিসহ অনান্য রাজনৈতিক দলগুলো ১০ দফা কর্মসূচি পালন করছে৷ পুরো জাতি আজকে এ ১০ দফা পালনে নেমেছে।
আওয়ামী লীগের নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে মানুষের মনোবল তত দৃঢ় হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ১০ দফার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। প্রতিদিন অত্যাচার নির্যাতন মাত্রা বাড়ছে। যত বাড়ছে নির্যাতনের মাত্রা তত মানুষ আরও দৃঢ় হচ্ছেন, শক্ত হচ্ছেন। দৃঢ়তার সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে নামছেন।
জিয়াউর রহমান বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আজকে দুর্ভাগ্যজনক এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামী লীগ সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আগামী ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিএনপির নানা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক শুধু নয়, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য বিএনপি তার জন্মদিন স্মরণ করে রাখতে একটা বড় কর্মসূচির আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।