Logo
Logo
×

অন্যান্য

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক উত্থান যেভাবে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক উত্থান যেভাবে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি)।নতুন দলটির নামের ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে তৈরি মঞ্চ থেকে নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে।বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সমর্থকদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ প্রাঙ্গণ। এ সময় তাদের হাতে জাতীয় পতাকাসহ নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, জাতীয় পতাকা ও ফেস্টুন দেখা যায়।

নতুন দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ ইসলাম। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে থাকছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)।

প্রধান সমন্বয়কারী পদে থাকছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। যুগ্ম সমন্বয়ক হচ্ছেন আবদুল হান্নান মাসউদ।

মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) থাকছেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে সারজিস আলম।

এর আগে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের বিষয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়। এতে দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি চূড়ান্ত করা হয়।

নতুন এই দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন মো. নাহিদ ইসলাম।

নতুন দলটির শীর্ষ ১০ নেতাদের অধিকাংশের রাজনৈতিক আন্দোলনের শুরু হয় ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে।পরবর্তীতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে ২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে।

নাহিদ ইসলাম

নাহিদ ইসলামের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকার অদূরে ফকিরখালীতে।তিনি ২০১৪ সালে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন।সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসি পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। ২০২২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন তিনি।

চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের ১ দফার ঘোষক নাহিদ ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। পরে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে নুরুল-রাশেদ-ফারুক প্যানেল থেকে নাহিদ নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি সংস্কৃতি সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। তবে তিনি জয়ী হননি। পরে মতবিরোধের কারণে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে আসেন নাহিদ।

পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নির্দলীয় ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি আত্মপ্রকাশ করে। এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হন নাহিদ।

২০২৪ সালের ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র হাইকোর্টে খারিজ হলে আন্দোলনের উদ্যোগ নেন নাহিদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সংঘটিত এই আন্দোলনের ১ নম্বর সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দুইবার আটক হন নাহিদ।প্রথমবার ১৯ জুলাই সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। চোখে কাপড় বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তাকে মারধর করা হয়। দুই দিন পর পূর্বাচলে একটি ব্রিজের তলায় তাকে ফেলে দেওয়া হয়।সেখান থেকে কোনোরকমে একটি রিকশায় উঠে বাড়িতে ফেরেন তিনি। 

দ্বিতীয়বার ২৬ জুলাই ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নাহিদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন জানান, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ নাহিদকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।এরপর ২ আগস্ট ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হাসিনার পতনের ১ দফা ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম।তীব্র গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতন হয়।

এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নাহিদ ইসলাম।পান তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব।গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পদত্যাগ করেন তিনি।

আখতার হোসেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৫-১৬ সেশনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৪তম হয়েছিলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। সে বছর ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলে তার প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে অংশ নেন এবং ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র অধিকার পরিষদের নুর-রাশেদ প্যানেল থেকে সমাজসেবা পদে নির্বাচন করে জয় পান তিনি।

পরবর্তীতে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে নতুন ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গঠন করেন আখতার।সংগঠনের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।পরবর্তীতে সংগঠনটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি আত্মপ্রকাশের দিনেও ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এই ছাত্রনেতা।

চব্বিশের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৭ জুলাই ঢাবির টিএসসি এলাকায় কফিন মিছিল কর্মসূচির আগে আখতারকে আটক করে পুলিশ। ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর রাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।এরপর ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হলে সেখানে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান আখতার।

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।চব্বিশের ৩ আগস্ট নাহিদ ইসলামের স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের ১ দফা ঘোষণার সময় তার পাশে ছিলেন তিনি।আন্দোলনকে পেছন থেকে সংঘটিত করতে তার ভূমিকা রয়েছে।পরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হলে সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ

কুমিল্লার ছেলে হাসনাত জেলার দেবীদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করেন।পরে পারুয়ারা আবদুল মতিন খসরু কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন তিনি।

২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে প্রশাসনিক দুর্নীতি, কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্য ও দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধের দাবিতে অনশন করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।বিভিন্ন ভর্তি কোচিং সেন্টারে ইংরেজি বিষয়ক ক্লাশ নিতেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত পরবর্তীতে সংগঠনটির আহ্বায়ক মনোনীত হন। ২০২৪ সালে আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন হাসনাত।কোটা আন্দোলনের সময় ২৬ জুলাই অন্যান্য সমন্বয়কদের সঙ্গে হাসনাতকেও ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়।

সারজিস আলম

পঞ্চগড়ের ছেলে সারজিস জেলার আলোয়াখোয়া তফশিলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন তিনি।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সীমান্তবর্তী বামনকুমার গ্রামে তার বাড়ি। 

অমর একুশে হল থেকে ২০২৩ সালে টেবিল টেনিসেও পেয়েছেন পুরস্কার। বিতার্কিক হিসেবেও সারজিস আলম বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ২০২২ সালে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রোকেয়া বিতর্ক অঙ্গন, বিজয় ৭১ ডিবেটিং ক্লাব, সমাজ কল্যাণ ডিবেটিং ক্লাব, কবি জসিমউদ্দিন হল ডিবেটিং ক্লাব প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিসকেও অন্যান্য সমন্বয়কদের সঙ্গে ২৬ জুলাই ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। 

সারজিস ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ের মধ্যে ৯ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আরিফুল ইসলাম আদীব

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের ছেলে আদীবের ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আদীবের সাংগঠনিক পথচলা শুরু। ২০১৯ সালে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।পরবর্তীতে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের ঘোষণাপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ছিলেন। ২০২৩ সালে ১৬ ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ের গঠিত ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তিনি কয়েকবার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।২০১৯ সালে ডাকসু ভবনে তার ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনের সংগঠক হিসেবেও বিশেষ ভূমিকা রাখেন। 

পেশাগত জীবনে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ফ্রিল্যান্স লেখক হিসেবে কাজ করেছেন আদীব। ২০২০ সালের পর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট ও মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন তিনি।বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।

আদীবের বাবা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও মা গৃহিণী। ২০১১ সালে বাঘিয়া আল আমিন কামিল মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক সম্পন্নের পর ভর্তি হন ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনে ভর্তি হন আদীব। 

আবদুল হান্নান মাসউদ

নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার ছেলে মাসউদ আলোচনায় আসেন ২৬ জুলাই যখন ছয় সমন্বয়ক ডিবি কার্যালয়ে আটক ছিলেন। সেসময় ভিডিও বক্তব্যে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

২০২৩ সালে আখতার হোসেন ও নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির মাধ্যমে মাসউদের রাজনীতি শুরু। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। 

মাসউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিভাগে পড়ছেন তিনি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম