‘নতুন পোশাক সমাধান নয়, প্রয়োজন সিস্টেম ও চরিত্রের পরিবর্তন’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
পুলিশ-র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমস্যা পোশাকে নয়; সমস্যা সিস্টেমে ও চরিত্রে।তাই নতুন পোশাক সমাধান নয়, প্রয়োজন সিস্টেম ও চরিত্রের পরিবর্তন।
মঙ্গলবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাপ্তাহিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, শুধু পোশাক পরিবর্তন করা হলে মানুষের করের টাকা নষ্ট হবে, লাভবান হবে কয়েকজন ঠিকাদার। সমস্যা পোশাকে নয়, পুরো সিস্টেমে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, পোশাক পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। সবচেয়ে জরুরি হলো চরিত্র পরিবর্তন। নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রস্তুত করে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় বসাতে হবে। উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ পেতে হলে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের আত্মশুদ্ধি করতে হবে।বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন সৎ ও যোগ্য মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়; রাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বভাব, চরিত্র ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের সহযোগীর ভূমিকা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শ সেবক হিসেবে তাদেরকে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশন করতে হবে। ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া অপরাধপ্রবণ মানুষিকতার পরিবর্তন অসম্ভব।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে যে ব্যাপক পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন এটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে দেশবাসী আশার আলো দেখতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন নাগরিকদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। নাগরিকরা এই বাহিনীগুলোর চরিত্রে পরিবর্তন চায়। জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নিশ্চয়তা চায়। ঘুস বাণিজ্য, দুর্নীতি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও সরকারদলীয় লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে এদেরকে কখনো দেখতে চায়নি, ভবিষ্যতেও দেখতে চায় না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আবদুর রহমান, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমিন, শহিদুল ইসলাম কবির, মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী ও শাহ ইফতেখার তারিক।