Logo
Logo
×

অন্যান্য

‘বহুত্ববাদ’ নয়, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চায় খেলাফত মজলিস

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম

‘বহুত্ববাদ’ নয়, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চায় খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিসের আমির বলেছেন, একটি বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের দিকে সবাইকে ফিরে আসতে হবে।পাশাপাশি দলটির মহাসচিব বলেছেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধানের যে মূলনীতি দিয়েছে সেখান থেকে ‘বহুত্ববাদ’ বাদ দিতে হবে। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

শনিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নির্মাণের প্রথম কাজ ছিল ফ্যাসিবাদ ও সব দোসরদের বিচার করা। ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সব রাস্তা বন্ধ করা। কিন্তু আজ ক্ষমতার বন্দোবস্ত নিয়ে, অভ্যুত্থানের ক্রেডিট নিয়ে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। নিজেদের মধ্যে বিবাদ কমিয়ে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ কিছু প্রয়াস দেশের স্বার্থে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য কিছু মৌলিক বিষয়ে একমত হওয়া ও তা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখা অত্যন্ত জরুরি। 

তিনি বলেন, দলের ওপর দেশকে বড় করে দেখতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে, দেশ বাঁচলে আমাদের রাজনীতি বাঁচবে এবং সুখী-সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে উঠলে দেশের ইতিহাস আমাদের স্মরণে রাখবে। দেশের সব সংস্কারে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিতে হবে। সংস্কারে দীর্ঘ সময় নয়, আবার রাতারাতি নির্বাচনও দেশের মানুষ চায় না। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তঃসংলাপ ও ঐক্যবদ্ধ ঘোষণার জন্য জাতি অপেক্ষা করছে।

খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, একটি বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের দিকে সবাইকে ফিরে আসতে হবে। খেলাফতভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা যুগে যুগে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়েছে। আমাদের এই মুহূর্তে দরকার দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ঐক্য এবং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্য। ঐক্যবদ্ধ বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে খেলাফত মজলিস তার ২৫ দফা কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। জাতির বৃহত্তর অংশ যা চায়, তা রাষ্ট্রে বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যের প্রয়োজন। আগামী নির্বাচন ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। তা না হলে আধিপত্যবাদের দোসররা মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে। কোনো দলেরই মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্বিমত থাকার অবকাশ নাই। সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধানের যে মূলনীতি দিয়েছে সেখান থেকে ‘বহুত্ববাদ’ বাদ দিতে হবে, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না- এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা থাকতে হবে। আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রেও সবার ঐকমত্য থাকতে হবে। 

খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলটির নায়েবে আমির ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ। 

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, খেলাফত মজলিস যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন শাকিল, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুদ্দিন অহমদ খন্দকার, শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রভাষক আবদুল করিম, ইসলামী যুব মজলিস সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি শাব্বির আহমদ ও ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম