খোলামেলা পোশাকে হাজির হওয়ার কারণ জানালেন জেসিয়া
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১২ এএম
২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। এরপর কাজ করেছেন বেশ কিছু গানের ভিডিওতে ও শর্ট ফিল্মে। সম্প্রতি কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। এ প্রতিযোগিতায় জেসিয়া ছাড়াও আছেন বিশ্বের আরও ৭০ প্রতিযোগী।
এ প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক খোলামেলা ছবিতে হাজির হচ্ছেন জেসিয়া ইসলাম। মূলত ফেসবুকে ভোটের মাধ্যমেই সেরা প্রতিযোগী বাছাই করে নেওয়া হবে। মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে জেসিয়াসহ বাকি সব প্রতিযোগীর টু-পিস পরিহিত ছবি। সেখানে প্রিয় তারকাকে ভোট দিতে বলা হয়েছে সমর্থকদের।
ভোট চেয়ে নিজের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জেসিয়া নিজেও। সেই ছবি দেখে কেউ সমালোচনা করেছেন। আবার কেউ এ মডেলের সাহসী লুকের প্রশংসা করেছেন।
প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী, মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের ভেরিফায়েড পেজে ফলো বাটনে ক্লিক করে তারপর জেসিয়া বা অন্য যে কোনো প্রতিযোগীর ছবিতে লাইক বা শেয়ার করতে হবে। লাইক করলে ১০ পয়েন্ট এবং ছবিটি শেয়ার করলে ৫ পয়েন্ট যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন এ মডেল।
আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। সেখান থেকে নির্বাচিত হবেন সেরা ১০ জন। সবার কাছে ভোট চেয়ে জেসিয়া ইসলাম বলেছেন—আমি সবার কাছে ভোট চাইছি। সবার সহযোগিতায় আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে পরিচিত জেসিয়া ইসলাম। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানা কারণে আলোচিত এ মডেল। বিশেষ করে একজন অভিনেতার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ সমালোচনাকে পেছনে ফেলে জেসিয়া ইসলাম তার মডেলিং ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেসিয়া বলেন, ‘আমার সাম্প্রতিক ছবিতে আপনারা যে মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়, যেখানে পাকিস্তান, মিশর, ভারত এবং বিশ্বের আরও অনেক দেশের অসাধারণ নারীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছি।’
নিজের স্বল্পবসনা নিয়ে এই মডেল বলেন, ‘সুইমসুট রাউন্ড আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার একটি অংশ, যেখানে সব প্রতিযোগী অংশ নেন। এটি কারও মূল্যবোধে আঘাত দেওয়ার জন্য নয়, বরং প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাস, ফিটনেসের প্রতি নিষ্ঠা এবং ব্যক্তিত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, এটি বহুদিনের একটি ঐতিহ্য, যা বৈশ্বিক পেজেন্ট্রির মানকে ধারণ করে এবং বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে ঐক্য, বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রচার করে।’
সবার মতামতের প্রতি সম্মান জানিয়ে জেসিয়া বলেন, ‘আমি সব ধরনের মতামতকে সম্মান করি এবং আপনাদের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে আমাদের মূল্যবোধকে তুলে ধরা আমার লক্ষ্য, একই সঙ্গে এই অসাধারণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাই। এই যাত্রায় আমার পাশে থাকার জন্য এবং আপনাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ!’