গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার ছেলে ও শতশত নেতাকর্মী-সমর্থকরা জেলগেটে তাকে স্বাগত জানান।
পরে নেতাকর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিতে দিতে ছাদ খোলা গাড়িতে করে মামুনুল হককে নিয়ে আসেন বারিধারা মাদ্রাসায়। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মামুনুল হক। সেখানে ভক্ত ও অনুসারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। এরপর রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে নিজের বাসায় যান মামুনুল হক।
এদিকে মামুনুল হকের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, মামুনুল হককে এক নজর দেখতে তার বাসার সামনে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী-অনুসারীরা। তারা বলেন, দীর্ঘ তিন বছর আমাদের হুজুর কারাগারে ছিলেন। আজ মুক্তি পেয়েছেন। আমরা খুশি। হুজুরকে দেখতে এসেছি। তিনি বিশ্রামে আছেন। আশা করি, হুজুরের সঙ্গে আমাদের দেখা হবে।
শাইখুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনায়েদ বলেন, মামুনুল হক এখন বিশ্রামে আছেন। অনেক নেতাকর্মী ওনাকে দেখতে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।