‘তাপমাত্রার এই পরিস্থিতির দায় সরকার এড়াতে পারে না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘দেশজুড়ে তাপমাত্রার মারাত্মক বৃদ্ধি শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কাছে গজবের মতোই। গরমে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, ত্রাহিত্রাহি অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে তাদের একটি বড় অংশের কাজ নেই। শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা গুরুতর হুমকির মুখে। অনেকেরই কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই।’
তিনি বলেন, ‘টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে এই পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না।’
শুক্রবার সকালে সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত জরুরি অবস্থা (হিট ইমারজেন্সি) জারি করে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সরকার, মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি দুর্যোগ পরিস্থিতিতে অসহায় শ্রমজীবী মেহনতি পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ প্রদান, টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি ও শ্রমজীবীদের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে উন্নয়নের নামে বনাঞ্চল আরও উজাড় হয়েছে, দেশ আরও গাছ শূন্য হয়েছে; প্রাণ, প্রকৃতি আরও বিপদগ্রস্ত হয়েছে। দেশে তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে চলেছে।’
তিনি উষ্ণতা বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে বনাঞ্চল সৃষ্টিসহ বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
সাইফুল হক বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ শিল্প-কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলার অনুকূল পরিস্থিতি নেই।’ তিনি শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রনয়নের আহ্বান জানান।
অন্যান্য বক্তারা অনতিবিলম্বে গারমেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় সমাবেশ ও র্যালির মাধ্যমে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ, আইয়ুব আলী, নূর ইসলাম, স্বাধীন মিয়া, জামাল সিকদার, আব্দুল হালিম ভুঁইয়া, হাফিজুর রহমান রুবেল, আবুল হোসেন, নান্টু দাস প্রমুখ।