ভারতের অনেক রাজনীতিবিদ দেশপ্রেমিক ও মিতব্যয়ী: ফয়জুল করীম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতিকে ব্যবসার কেন্দ্র বানানো হয়েছে। অতীতের রাজনীতিবিদরা এমন ছিলেন না। অথচ ভারতের অনেক রাজনীতিবিদ দেশপ্রেমিক ও মিতব্যয়ী।’
দলটির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার উদ্যোগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, শিক্ষা ছাড়া ইসলাম চলতে পারে না। পাশ্চাত্যরা জানে জন্ম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, মূল হচ্ছে শিক্ষা ও সংস্কৃতি। শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবর্তন করা গেলে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। এজন্য মুসলমানদের বিরোধীরা শিক্ষা নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইসলামের সূচনায় পড়ার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা সংস্কৃতিতে ইসলাম থাকলে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, দুর্নীতি, ব্যাংক ডাকাতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচার হতো না।’
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন- বাজেটের ৯০% টাকা মূল কাজে পৌঁছে না। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছিলেন- বছরে যে দুনীতি হয় তা দিয়ে ২টা পদ্মা সেতু করা যায়। রাস্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে ৭০ গুণ উন্নয়ন হতো। কথায় আছে, যে গাছে চোরের হাত লাগে ওই গাছে ফসল হয় না। ঠিক, রাষ্ট্রে চুরির কারণে কোনো বরকত ও উন্নয়ন হচ্ছে না। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে বিদেশিদের অসহযোগিতার পরেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। তারা অনেক খনির সন্ধান পেয়েছে।’
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা যায় তবে এদেশে ৭০ গুণ উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশে মানুষের খনি হলেও মানবসম্পদকে যথাযথভাবে প্রস্তুত না করার কারণে মানুষরা সম্পদের পরিবর্তে আজ বোঝায় পরিণত হয়েছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার বর্তমান সভাপতি মুহাম্মাদ ইউসুফ পিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলন সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, মহানগর ইসলামী আন্দোলন নেতা এম এম শোয়াইব প্রমূখ।
সম্মেলনে এম জসিম খাকে সভাপতি, মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলামকে সহ-সভাপতি এবং মুহাম্মাদ রিদওয়ান খান রিয়াদকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর পূর্বের ২০২৪ বর্ষের কমিটি ঘোষণা করা হয়।