প্রয়োজনে লাঠি হাতে নেওয়ার হুমকি মঞ্জুর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই সরকারের পতন ঘটাতে প্রয়োজনে তারা বাঁশের লাঠি হাতে নেবেন ।
শুক্রবার ‘প্রহসনের নির্বাচনে জনপ্রত্যাখ্যাত ফাইভ পার্সেন্ট সরকারের লুটপাট ও দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ ও অবস্থান থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও যুবনেতা খালিদ হাসান।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘একটি জবাবদিহিমূলক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় দেশের মানুষ আজ সব বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম মানুষের গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অথচ সরকার আজ জনগণের ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যার ফলে আজ আমাদের কালো পতাকা নিয়ে রাজপথে দাঁড়াতে হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, কালো পতাকার স্থলে প্রয়োজনে বাঁশের লাঠি হাতে আসবে কিন্তু আমরা স্বৈরাচার পতন ঘটাবোই ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩০ তারিখে অবৈধ সংসদ বসতে যাচ্ছে, আমরা এই সংসদ মানি না। এবি পার্টির সংগ্রাম চলছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই সংগ্রাম চলবে ইনশাআল্লাহ।’
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি নির্বাচন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এই ফাইভ পার্সেন্ট সংসদ গঠিত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক লুট, সিন্ডিকেট করে গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এমন একটি শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যবই তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের নৈতিকতাকে ধ্বংস করার পায়তারা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, পঁচানব্বই ভাগ মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো স্বৈরাচার সরকার টিকতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ না মেনে সংসদ বিলুপ্ত না করেই পরপর দুটো অবৈধ নির্বাচনি নাটক মঞ্চস্থ করেছে বর্তমান স্বৈরশাসকেরা। সংসদের চেম্বারে বসার আসন ৩৫০ হলেও শপথবদ্ধ ভোট ডাকাতদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬৫০ জন। ঢাকার লোকাল বাসের মতো জোর করে সিটে বসার মতো সংসদীয় ভোটচোরদের মধ্যে অনিবার্য সংঘাত-সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি, তাই সীমান্ত থেকে সব বিজিবি সদস্যদের ঢাকায় এনে সংসদ পাহারা দেওয়ার কাজে দায়িত্ব দেওয়া দরকার। এতে বিজিবি সদস্যদের জীবনও বাঁচবে আর শপথবদ্ধ ভোটচোরদের লুটপাট কমতে পারে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।