৭ জানুয়ারি দেশের বারোটা বাজার এলার্ম বেজে উঠবে: ইসলামী আন্দোলন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২০ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ‘দেশের পৌনে বারোটা বেজে গেছে। আমার মনে হয় আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের বারোটা বাজার এলার্ম বেজে উঠবে।’
শুক্রবার জুমার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘জাতিসত্তার বিরোধী শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করো ও একতরফা পাতানো নির্বাচন বাতিলের দাবিতে’ আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘দেশে ভোট দেওয়া লাগবে না, নির্বাচনের আগেই ভোট দেওয়ার পরিস্থিতি চলছে। আবার শিক্ষা কমিশনের পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না অটোপাশ হয়ে যাবে। তারমানে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এদেশের মানুষকে ধ্বংস করার পায়তারা চলছে। এ ধরনের শিক্ষাক্রম আমরা বাতিল চাই।’
এ সময় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তামাশার নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। জনগণের টাকায় এই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের নামে আসন ভাগাভাগি ও ডামি নির্বাচনের নামে দেশে তামাশা শুরু হয়েছে। ১৪ আর ১৮ এর মতো আরেকটি কালো অধ্যায় রচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। একতরফা ও পাতানো নির্বাচন হলে দেশ ভয়াবহ সংকটে নিপতিত হবে। সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষের আহাজারি আরও বৃদ্ধি পাবে। শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চরম হুমকির মুখে পড়বে। মানবতা বিপর্যস্ত হবে। দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। সরকার জনগণের এ অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। পুলিশ দিয়ে সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জনতার অধিকার নিয়ে কানামাছি খেলছে। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় করে ক্ষমতায় যাওয়ার লালসা পূরণ হবে না।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, অ্যাডভোকেট এম হাসিবুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মশিউর রহমান, ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইউসুফ পিয়াস, মাইদুল হাসান সিয়াম প্রমুখ।
তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক পদে দলীয় লোক বসিয়ে একপাক্ষিক নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। নির্বাচন বন্ধে ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।