Logo
Logo
×

অন্যান্য

সরকার পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি ১২ দলীয় জোটের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ০৭:২১ পিএম

সরকার পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি ১২ দলীয় জোটের

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে সামনে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।

‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে’ এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। 

মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কসংলগ্ন সড়ক থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবারো পানির ট্যাঙ্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মী চাল-ডাল-তেলের দাম কমানোসহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, দাবি একটাই- অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমাতে হবে। 

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বৈরিতা বা শত্রুতা তৈরি করবেন না। আপনারা এ দেশের মালিক নন। ১৮ কোটি মানুষ দেশের মালিক। কারণ আপনারা ভোটারবিহীন সরকার। নিজেরা নিরাপদ থাকার জন্য ক্ষমতা ত্যাগ করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরা আন্দোলনে ছিলাম এবং আছি ও থাকব’।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এই সরকারের কোনো অন্যায় নির্দেশ মানবেন না।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘সরকারের সময় শেষ। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিন।’

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম সরকারকে উদ্দেশে করে বলেন, ‘সামনে আরও কঠোর আন্দোলন আসবে। ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। না করলে গণভবন, বঙ্গভবন ও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি আসতে পারে।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) কারি মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ইকবাল হোসেন প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির মানসুর আলম শিকদার, জাতীয় দলের রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজ উদ্দিন টিটু, এমএ বাসার, চাষী এনামুল হক, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম