প্রতীকী ছবি
শত ঝড় বৃষ্টি ঝামেলার পরে
বাবা আসতেন ঠিকই ঘরে ফিরে
আজ বাবা নেই চলে গেছেন কবরে
পরপারে বসবাস জীবিত নেই কোন খবরে।
ছেলে সন্তান নাতি পুঁতি
সবাই বিরহে তার কাঁদে
চলে যাওয়ার অসহনীয় কষ্টে
পাষাণে বুকখানা সকলে বাঁধে।
একলা ঘর মাটির দেয়াল
মাটির বিছানার উপর বাঁশের ছাউনি
শুয়ে আছেন নিথর দেহে
কেবলার দিকে চোখের চাহনি।
পরপারের প্রথম ঘাঁটি
মুখোমুখি মুনকার নাকীর
নিঃসংকোচে সঠিক জবাব
তার মুখ থেকে করেন মাওলা বাহির।
জীবনে তিনি করেছেন যত গুনাহ
আর ছিলো যত নেক কর্মের অভাব
রহিম রহমান তুমি মাওলা
ক্ষমা করাই যে তোমার জাতের স্বভাব।
আখেরাতের যত ঘাঁটি
আর ভয়াবহ হাশরের ময়দান
সবকিছুর পরিপূর্ণ বিচারের দিনে
অণু পরিমান নেক কাজের দিও মাওলা প্রতিদান।
আজ বাবা নেই
মাথাটা শুন্য ফাঁকা মনে হয়
বাবার স্মৃতি গুলো অবিরাম
সারাক্ষণ যেন আমাকে ঘিরে রয়।
বাবার মুখটা দেখি চোখ দুটো দেখি
কথাগুলে মোহ মায়ায় কানে বাজে
মনে হয় বাবা বুঝি আবার ফিরে আসবে
আগামীকাল পরশু কিংবা কোন এক সাজে।
শরীরের প্রতিটি বিন্দু আর হৃদয় কোঠরে
বাবা তোমার সদা বসবাস
তোমার বিহনে কেমনে থাকি বলো
পরাণ যে করে শুধু হাসফাস।