আমি কবি হতে চাইনা,
বসন্তের বিকেলে একটা নির্মল মুখের মিষ্টি হাসি
আমার মনে মৃদু শিহরণ জাগিয়ে
কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে যায়
অভাবনীয় ভালোলাগার কিছু বেয়ারা অনুভূতি
তখন
অর্থহীনভাবে বেঁচে থেকে
চুপচাপ বসে থাকাটা হয়ে পরে বেশ কষ্টকর
আমি কিছু একটা লেখার চেষ্টা করি!
আমি কবি হতে চাইনা
পথের দুইধারের সারিসারি সবুজবৃক্ষের স্নিগ্ধতা
প্রতিটি সন্ধ্যায় সময় করে কানের কাছে আসে
খুব করে কিছু আলস্যমাখা সুখ সাঁধে আমায়
কিছু স্মৃতি তখন বেশ আয়েশ করে কাঁদায়!
তখন
আকাশপানে শুধুশুধু
নির্বাক নেত্রে তাকিয়ে থাকাটা হয় কষ্টকর...
আমি কিছু একটা লেখার চেষ্টা করি!
আমি কবিতা বুঝিনা
দুঃখ কষ্ট যাতনা বঞ্চনা বুঝিনা
খুঁজিনা ঐশ্বর্য অথবা পার্থিব বিত্ত বৈভব
নির্ঘুম রাতের তারাগুলো থাকে তাকিয়ে
তীর্যক চোখে কী যেনো বলে ঠোঁটখানি বাঁকিয়ে
তখন আমার
সোনালী অতীত না ঘেঁটে, একটু আবেগী হয়ে
তোমায় না ভেবে থাকাটা হয় বেশ কষ্টকর;
আমি কিছু একটা লেখার চেষ্টা করি!
কবি হতে চাইনা আমি!
দীর্ঘ সময় তোমার কথা আর ভাবিনা;
বিশেষ প্রয়োজন না হলে,
তোমার কথা একটা পুরোদিন মনে না এলে
আমি আকাশের দিকে ভুলেও তাকাইনা...
তখন আমার
কিছুই না লিখে চুপচাপ থাকাটা হয় খুব কষ্টকর;
আমি কিছু একটা লেখার চেষ্টা করি!
আমি কবি হতে চাইনা!
অনুভূতির ইচ্ছেরা ধুয়ার মতো জমাট বাঁধে,
মনের অসীম আকাশে করে অবাধ বিচরণ;
বাতাস ভারী করে আটকে দিতে চায় দম!
আমি কবি হতে চাইনা বলে
প্রিয় কবিতা ধীরপায়ে আসে কাছে,
কিছুক্ষণ থাকে বসে মস্তিষ্কের গা ঘেঁষে;
তাকে লিখে না রাখলে, কবিতার হয় অভিমান!
অনন্যোপায় হয়ে কিছু লিখি আমি; দেখি
তুমি কবিতা হয়ে যাও-হয়ে শব্দসমুদ্রে সর্বদা বহমান!