Logo
Logo
×

সাহিত্য

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে স্বাধীনতার কবিতা পাঠ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে স্বাধীনতার কবিতা পাঠ

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উদযাপন ও কবি শামসুর রহমান স্মরণে কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রোববার ‘স্বাধীনতার কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি মূল্যায়ন’ শিরোনামে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এতে ঢাকার ১৪টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের ২৮ পাঠক কবি শামসুর রাহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ ও ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা দুটি আবৃত্তি করা হয়। 
আবৃত্তি মূল্যায়ন শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার হিসাবে বই তুলে দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান খলিল আহমদ। 

বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ, কবি নাসির আহমেদ এবং অভিনেত্রী ও নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী। স্বাগত বক্তৃতা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক ফরিদ উদ্দিন সরকার, সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. ইনামুল হক। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন গ্রন্থাগার সংগঠক ও গ্রন্থসুহৃদ এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া, শাহনেওয়াজ, কাজী সুলতান আহমেদ টোকন, শফিকুল গণি প্রমুখ।   

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খলিল আহমদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক চাই। স্মার্ট নাগরিক গড়তে হলে জ্ঞান আহরণের বিকল্প নেই। জ্ঞান আহরণে সবচেয়ে বড় মাধ্যম বই।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ বলেন, কবিতা আবৃত্তি একটি বড় মাপের শিল্প। আবৃত্তিচর্চার মধ্য দিয়ে শব্দ, বাক্য, উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও ভাষা সম্পর্কে পরিশীলিত জ্ঞান লাভ করা যায়। 

ভাষা সঠিকভাবে আয়ত্বে আসে। যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর রপ্ত করা উচিত। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র চাইলে এব্যাপারে কর্মশালার আয়োজন করতে পারে।    

কবি নাসির আহমেদ বলেন, কবি শামসুর রাহমানকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তিনি স্বাধীনতা নিয়ে কবিতাযুগল রচনা করেছিলেন একাত্তরের এপ্রিলের প্রথম

সপ্তাহে। আমি জনকন্ঠে কাজ করার সময় তার জীবনী সম্পাদনা করতে গিয়ে তাকে আরো গভীরভাবে জেনেছি। নতুন প্রজন্মের উচিত তার কবিতা ও সাহিত্যকর্ম পাঠ করা।
অভিনেত্রী ও নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান প্রজন্মের সামনে জ্ঞান আহরণের অনেক দ্বার অবারিত। আমাদের শৈশবে এতো সুযোগ ছিল না। তারপরও আমরা পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি প্রচুর বাড়তি বই পড়েছি। পড়ূয়া হিসেবে বড় হয়েছি। 

এখনো প্রতিদিন অধ্যয়নে দীর্ঘ সময় ব্যয় করি। এতে অশেষ উপকার হয়। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে অনবরত নতুন বিষয় জানতে পারি।  

অনুষ্ঠানের সভাপতি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালক কবি মিনার মনসুর বলেন, আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানকে আমরা যেন ভুলতে বসেছি। তার ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ ও ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা দুটি পাঠ করলে আজও যেন রক্তে নাচন ওঠে। অথচ নতুন প্রজন্মেরর বাচ্চাদের অনেকে তার নামই জানে না। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এর চর্চা হয়না। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-মাদরাসার গ্রন্থাগারগুলো বেশিরভাগই তালাবদ্ধ, নিষ্ক্রীয় পড়ে থাকে। 

যাহোক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সারাদেশে বেসরকরি গ্রন্থাগারগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। তবে সরকারের একার পকে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে, সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। আমরা সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় গ্রন্থাগারগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের লক্ষ্যে কাজ করছি।    
রোববার গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী গ্রন্থাগারগুলো হচ্ছে বেরাইদ গণপাঠাগার, দনিয়া পাঠাগার, সীমান্ত পাঠাগার, গোলাম আবেদীন মাস্টার ও রেফাতুন্নেছা গ্রন্থাগার, আলোকবর্তিকা গ্রন্থালয়, কামাল স্মৃতি পাঠাগার ঢাকা, অনির্বাণ পাঠাগার, মতি মাস্টার স্মৃতি পাঠাগার, তাহমিনা ইকবাল পাবলিক লাইব্রেরি, মুক্তি গণপাঠাগার, উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল পাঠাগার, মুকুল ফৌজ পাঠাগার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম