কই আর যাব,
এখানে শিউলি ফুলের সাদায় বরষার মায়া লেগে থাকে,
হাত ফসকে বেরিয়ে যায় মুঠোভর্তি হাওয়া।
ঘাসের গায়ে যে গল্পটা আধেকটা লিখিয়ে নিজের নাম
আজন্ম ঝুলেছিল সমাপ্তির আশায়,
তার গেল শীতে মৃত্যু ঘটেছে জেনে বৈকুণ্ঠের আলো মন খারাপ করেছে খানিকটা।
কেমন একটা যেন ভারি হয়ে আসে সন্ধ্যার আহত আকাশ,
কবে যাবে?
তোমাদের ভোরগুলো রাতের পোশাক ছাড়িয়ে স্বপ্নের কথা অনেকটা বাড়িয়ে
যার যার কাছে বলে তাদের বাড়ি!
ও কি কাঁদছ?
কেন?
চোখের পাতারাও একদিন সম্পর্ক গুটিয়ে নেয় জানো তো,
ভালো তো আমরা অন্যকে বাসি না কোনো দিন-
তাই কী লাভ মিথ্যার ঘরে মিথ্যা দেয়াল গড়ে?
তারচেয়ে বরং মরে যাওয়ার আগে মরে যেতে যেতে সত্য স্বীকার করি চলো-
কই আর যাব?
নিজেই দাঁড়িয়ে যখন নিজের রাস্তার পরে
এখান থেকে আর কোথাও কি যাওয়া চলে?
একজন তুমি ভীষণরকম...
তুমি ছাড়া কে আর এমন
হারিয়ে দিতে পারে,
তুমি ছাড়া কে আর আমায়
জিতিয়ে দিতে হারে...
জিতিয়ে হারাও বাঁধন সরাও
বাঁধো অবাধ গিট
মুক্ত করেই শেকলে বাঁধো
মজবুত করো ভিত
তুমি ছাড়া কে আর এমন ছেড়ে দিতে পারে,
যাওয়ার পথে বাঁধন পাথর বিছায়ে পদ পাড়ে
তুমি ছাড়া কে আর এমন দুঃখ না দিয়ে ছাড়ে
খুলে দিয়ে হৃদের বাঁধন, হৃদয়টারে নাড়ে...
ভাসিয়ে ডোবাও গহীন সলিলে
স্থলের টানে ভাসি
দূরে গিয়েও কে আর ভালো
বাসে কাছে আসি...