তেতলার বারান্দায় ঝুলে আছে
অভিলাষ সমূহ,
মরিচায় লাল সোহাগী রেলিং
ঊর্ধ্বমুখী আমি বিকলাঙ্গ।।
কেবল নিয়মের চলা-বলা
নিয়মেই পাশা খেলা,
বয়সের বেলা সাঙ্গ।
জোড়া শকুন একালের ক্ষুধা
রাঙা চোখ দেখে রঙ্গ,
তামাটে খোয়াব
টুটে ভঙ্গ।
মরেছে বহুকাল আগে মন বিহঙ্গ।।
থলে ভর্তি দরকারের বাজার বয়ে
রোজ আসি হয়ে
রোগে ধরা আমার ইচ্ছের বাড়ি।
ওদের কার কী নাম
ভুলতে বসেছি যে!
অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে হঠাৎ দেখি
এক ফালি আশা।
ওদের যদি সংসার বাড়ে
তবে ভাবছি-
আমি কিছু সময় কিনে নেব তাবৎ
সামর্থ্য বন্ধক রেখে।
রাত বেড়ে গেলে-
যখন কেউ নেবে না মাথা মগজ হাত কিংবা পা জোড়ারে
ছেলে ভোলানো ছড়ায় আমি চোখ ভুলিয়ে
যাব অভিসারে।
সাথে কিছু ফুল নেব,
ধুল জমা স্বপনের পায়ে
আলতা পরাব
চন্দনের টিপ, কপালে।
ফিরে যাই কোথায় যেন...
খুঁজে পাচ্ছিলে না?
রেস্টুরেন্টের বাঁশের বেড়ায় হারিয়ে গেছি সত্যি,
আমাকে পাবে সালুদের বাড়ির নতুন ঘরে একরত্তি
আজ থেকে প্রায় বছর বিশেক আগে,
এ বেড়ারই ঘর উঠেছিল বাদাম গাছের বাগে।
এই যে দ্যাখো,
বুকপাতা সব গাছের গুড়ির সাঁকো,
মাড়িয়ে যেটা কৃত্রিম এসব কুঁড়েঘর খুঁজে বসো
এই গুলি তো মনে পড়ে সব ফেলে এসেছি সেথায়
খুব সহজেই কুমোর পাড়ায় পাড়া পড়ত যেথায়।
শহর ভরা ইটগুলোকে বাতিল করে শেষে
আমি ভাবছি কোথায় এলাম
এতটা দূর কার কাছে অবশেষে?
কীসের খোঁজে তবে এতটা যুজে
এলাম নাগর নগরের আশে
কি খোঁজে মন, কিসের লাগি
ফুরায়ে যাই মরিবার আগি
কীসের তরে এত দূর আসি
যাই ভেসে যাই কী বিশ্বাসী???
আমি হারিয়ে যাই, হারিয়ে গেছি...