ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করা ইসলামি আইনের পরিপন্থি বলে ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদ।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে দেশটির ধর্মবিষয়ক সংস্থা কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি এই ঘোষণা দেয়। এতে দেশটির সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আলেম সমাজেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাগিব নাঈমির বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এইসব নিষিদ্ধ কনটেন্টের মধ্যে বহু অনৈতিক বিষয় এবং বিভিন্ন পর্ন ওয়েবসাইট পর্যন্ত রয়েছে। এসব অবৈধ বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকার নিতে ভিপিএন ব্যবহার করা ইসলামিক ও সামাজিক নিয়মের পরিপন্থি। আর তাই ইসলামিক আইনের অধীনে তা ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিষদ বলছে, ইন্টারনেট পরিষেবাসহ যে কোনো প্রযুক্তি, যা ব্যবহার করে অনৈতিক এবং বেআইনি বিষয়ের নাগাল পাওয়া যায়, সেসবই আদতে ইসলামিক আইন ও নীতি অনুসারে নিষিদ্ধ!
বিবৃতিটি এমন সময় এসেছে যখন পাকিস্তানব্যাপী ব্যবহারকারীদেরকে ভিপিএন নিবন্ধন করার জন্য চাপ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মূলত, সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
সমালোচকরা বলছেন, এই ধরণের ব্যবস্থা অনলাইন নজরদারি বাড়ায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেয় ও ই-কমার্সকে ব্যাহত করে।
ভিপিএন নিয়ে কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি এ ফতোয়া পাকিস্তানে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জনসাধারণের পাশাপাশি বিশিষ্ট আলেম ও ফেডারেল মন্ত্রীরাও কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজির ফতোয়াকে ভুল বলছেন।
প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক মাওলানা তারিক জামিল বলেছেন, এই ফতোয়া একেবারেই ভুল, ভিপিএন ব্যবহার যদি হারাম হয়, তাহলে মোবাইল ফোন ব্যবহারও হারাম।