কাশ্মীরের ভোটে কংগ্রেস-আবদুল্লাহর জোটকে ‘সমর্থন’ পাকিস্তানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন এবং মানবাধিকার ইস্যুতে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বাতিল করা হয়েছিল কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। এরপর এবারই প্রথম সেখানে ভোট হচ্ছে। ইতোমধ্যে গতকাল প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এবারের নির্বাচনে ইসলামাবাদ চোখ রাখছে সেখানে। এরই মধ্যে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটকে একরকম মৌন সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তান।
তার কারণ ভোটে জিতলে কাশ্মীরের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ইশতেহার দিয়েছে কংগ্রেস এবং ওমর আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট। পাকিস্তানও চায় কাশ্মীর তার পুরোনো মর্যাদা ফিরে পাক।
জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্টমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় কাশ্মীরে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। ওই জোট ৩৭০ ধারাকে ভোটের ইস্যু হিসাবে তুলে ধরেছে। আমাদের ভাবনাও ওই জোটের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়’।
এদিকে পাক মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের বিরুদ্ধে আক্রমণে নেমেছে বিজেপি। দলটির দাবি, কাশ্মীর ইস্যুতে এতোদিনের থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, ‘পাকিস্তান, একটা জঙ্গি দেশ কাশ্মীরে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটকে সমর্থন করছে। পান্নুন থেকে পাকিস্তান। রাহুল গান্ধী আর তার সমর্থকদের সবসময় ভারত বিরোধীদের সমর্থন করে কেন’?
এছাড়া বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধীর অধীনে প্রতিটি ইস্যুতে কংগ্রেসের অবস্থান সবসময় পাকিস্তানের অবস্থানের মতোই। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশে যে কোনও অবস্থান নিন- তাদের একই অবস্থান রয়েছে। পাকিস্তান রাহুলের উপর কী ক্ষমতা প্রয়োগ করে? এই নিয়ন্ত্রণের কারণ কী? কংগ্রেসে পাকিস্তানের কি স্বার্থ আছে?’
গত কয়েক বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নের হাওয়া তুলেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। তবে উপত্যকাটির সাধারণ নাগরিকদের কাছে টানতে পারছে না মোদি সরকার।
নির্বাচন কমিশন সূত্র মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে পরবর্তী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। আর ফল ঘোষণা করা হবে ৪ অক্টোবর।