
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২০ এএম
‘মার্চ ফর গাজা’য় আপ্লুত যুবক বলেন, ‘আরব জাতীয়তা নিয়ে আমি লজ্জিত’
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম

আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি।
এতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠনের সদস্য থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। এদিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো ফিলিস্তিন।
বাংলাদেশের এই মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি সাড়া জাগিয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিদেশি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা এমন কর্মসূচির প্রশংসাও করছেন।
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি নিয়ে মাজদি বেনগাজি নামে এক আরব যুবকের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের গাজার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো এমন ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে তিনি লিখেছেন- ‘শপথ করে বলছি, তাদের সামনে আমি আমার আরব জাতীয়তা নিয়ে লজ্জিত।’
গত দুইদিনে ‘মার্চ ফর গাজা’ ও বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন মাজদি বেনগাজি।
তেমনই এক পোস্টে তিনি বলেন, কেউ কেউ বাংলাদেশের মানুষকে বলছেন: চিৎকার-চেচামেচি করে লাভ নেই। তারা তো অন্তত কিছু একটা করেছেন আর আপনারা পর্দার পেছনে বসে মানুষের সমালোচনা ছাড়া কী করছেন।
ভিন্ন আরেকটি পোস্টে মাজদি বেনগাজি লিখেন, ‘গাজার পাশে বাংলাদেশ হলে হয়তো এতো কষ্ট হতো না...কিন্তু জাহাজের যেদিকে প্রয়োজন বাতাস তো আর সেদিকে বয়ে চলে না।’
এদিকে বাংলাদেশের মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি নিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটে প্রেস (এপি), ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, আলজাজিরা, আরব নিউজসহ বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের রাজধানীতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় এক লাখ মানুষ।’
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার মানুষের হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনাও।
তবে আরব নিউজের খবরে দাবি করা হয়েছে, ঢাকার সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। এটিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় সংহতি সমাবেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে, সমাবেশে প্রায় এক লাখ মানুষ ছিলেন। এতে বিএনপিসহ ইসলামী দলগুলোর সমর্থনের কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত, ইসলামের পুণ্যভূমি ফিলিস্তিনকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা ও মসজিদে আকসাকে সমূলে ধ্বংস করাই ইহুদিদের প্রধান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে দখলদার ইহুদিরা।
আল-আকসা মসজিদ ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এটি মুসলমানদের প্রথম কিবলা এবং মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান।
কুরআন ও হাদিসে এই মসজিদের বিশেষ মর্যাদা ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। মজলুম মুসলিমদের হাহাকারে প্রকম্পিত হচ্ছে ফিলিস্তিন ও আল-কুদসের আকাশ-বাতাস। এর প্রতিবাদে শনিবার রাজধানী ঢাকায় মার্চ ফর গাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।