
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ এএম
ওষুধের কাঁচামাল শিল্প সমৃদ্ধে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্কার কমিশন

যুগান্তর প্রতিবেদন:
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
-67f8e01fa871c.jpg)
ছবি:সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ওষুধশিল্পে পরনির্ভরতা কমাতে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সুলভ মূল্যে ওষুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশেই সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল তৈরির প্রস্তাব দেবে কমিশন। এই শিল্প সমৃদ্ধে থাকছে জোরালো নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা সুপারিশ।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর দারুস্ সালামে অবস্থিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সঙ্গে বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআইএমএ) এক বৈঠকে এ কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ওষুধের ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। হাতেগোনা কয়েকটি দেশে এ-ই কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরি করতে পারলে ঔষধ শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। এমনকি উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। সংস্কার কমিশন দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরিতে সুপারিশ করবে।
বৈঠকে বিআইএমএর সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ওষুধের কাঁচামাল শিল্পের প্রসারে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে। আমাদেরও এই নীতি সহায়তা প্রয়োজন।
এসময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তিনি স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন প্রধানের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানান।
প্রস্তাবগুলো, ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন ও গবেষণায় এবং সম্পদ উন্নয়নে প্রণোদনা দিতে হবে। দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদনে গ্যাস ও বিদ্যুৎতে ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে।
যেসব ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ১২০ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। তাদের আমদানি নিষেধ করা। নিবন্ধন ও অনুমোদন সহজীকরণ করতে হবে। স্থায়ীভাবে যারা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করবে, তাদের ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দেওয়া। ঔষধ প্রশাসনের ব্লক লিস্ট কমিটিতে বিএআইএমএ প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেড এর এম জামাল উদ্দিন, সোডিক্যাল মেডিকেল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিপ কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, ওয়ার্ল্ড এপিআই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্লান্ট ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডায়াবেটিকস সাইন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মাহমুদ প্রমুখ।