Logo
Logo
×

জাতীয়

আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়ে গেছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

Icon

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়ে গেছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়ে গেছে। আমাদের বর্তমান লক্ষ্য শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও আমরা কাজ করব। তবে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- শিক্ষার মানোন্নয়ন। এছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত চালু আছে তাদের (শিক্ষকদের) নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামনের বছর থেকে হয়তো আর ভর্তি নেওয়া হবে না। আর যারা আছে তারা আস্তে আস্তে বের হয়ে যাবে।

রোববার দুপুরে বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকায় পিটিআইতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বরিশালের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিধান রঞ্জন আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো গত উন্নয়ন দৃশ্যমান। যেসব বিদ্যালয় ২ শিফট চালু আছে সেখানে ১ শিফটে চালানোর চেষ্টা করা হবে। এছাড়া শূন্য পদগুলো পুরনো দ্রুত চেষ্টা করা হবে। প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছে না- এ কথাটা সত্য নয়। আমাদের অনেক স্কুল আছে যেখানে ভর্তির জন্য তদবির চলে। আমাদের যে অবকাঠামো আছে তা দিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানো সম্ভব। তবে অনেক স্কুলে কেন মানসম্মত পড়াশোনা হচ্ছে না, সেট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মানোন্নয়ন করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, সব সমস্যার সমাধান করে বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের আমরা সচেষ্ট। পাশাপাশি প্রজেক্টের নামে যেন টাকা নষ্ট না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. বিধান আরও বলেন, পিটিআইতে যেসব সুযোগ সুবিধা আছে তা দিয়েই আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারব। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ থাকলেও নানা কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত নির্মাণ কাজ পাচ্ছি না। এ সময় স্কুল চলাকালে শিক্ষকদের অন্য কাজে কম নিয়োগে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ থেকে ১৪ রকম প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে। আমি চাইলেও সেটা বন্ধ করতে পারব না। আমরা প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। তবে কেন আজ এমন অবস্থা। যাদের সামর্থ্য আছে তারা অলটারনেটিভ অপশন খুঁজে নিয়েছে।

সভায় বিভাগের ৫ জেলার প্রশাসক ও শিক্ষা প্রকৌশলীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) কামরুল হাসান, প্রাথমিক শিক্ষার বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।

পরে বরিশাল মহানগরীর ৩০০ প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিয়ম করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম