জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় নারীরা বিপর্যয় ও দুর্ভোগের শিকার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ এএম

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও কন্যাদের প্রাত্যহিক জীবনে সৃষ্টি হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যঝুঁকি, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বাদ পড়া, যৌন হয়রানি, যৌন সহিংসতাসহ বহুমাত্রিক বিপন্নতা। এই বিপন্নতা থেকে নারীদের মুক্ত করতে প্রয়োজন জনসচেতনতা, নীতি নির্ধারকদের সদিচ্ছা, পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণ, নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাতক্ষীরা জেলার যৌথ উদ্যোগে ‘বেইজিং+ ৩০ জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর বিপন্নতা’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ৯ মার্চ সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় আঞ্জুমানারা বেগমের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেখা সাহা, সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অ্যাড আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, পারভীন ইসলাম, কেয়া রায়সহ প্রমুখ। মহিলা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জোৎস্না দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আলী নুর খান বাবুল, সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল বিশ্বাস, আজমিরা খাতুন প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা সবচাইতে বেশি ক্ষতি এবং দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর এক থেকে দেড় কোটি মানুষ বড় বড় শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আইলা, নদী ভাঙন ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাতক্ষীরার বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ঢাকা ও খুলনার মতো শহরে আশ্রয় নেয়। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে নারীরাও আছেন। তারা বস্তিতে বসবাস করছেন এবং গার্মেন্টস, ইটভাটা ও গৃহকর্মীর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হচ্ছেন। এতে তারা কম মজুরি, অনিরাপদ কর্মপরিবেশ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।