স্বপ্ন দেখি ছাত্রছাত্রীরা দেশেই যেন ভবিষ্যৎ গড়তে পারে: আবরার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার, যেখানে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারে।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্বটা দিয়েছেন সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনে যে জার্নিটা ইজি হবে তা নয়।
সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগৎ। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি এটা হয়তো দ্রুত হবে না। কিন্তু এর একটা ভিত্তি আমরা তৈরি করতে চাই।
এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্যবিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সবকিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে।
তিনি বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। আজ থেকে শিক্ষার দায়িত্ব সামাল দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরার।