হাসিনার বিচার এক দেড় মাসের মধ্যে শুরু হবে: চিফ প্রসিকিউটর

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম

ফাইল ছবি
চলতি মাসেই শেখ হাসিনাসহ প্রধান প্রধান কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার যাবে বলে প্রত্যাশা করেন মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদন হাতে পেলে এক থেকে দেড় মাসের মাথায় বিচার কাজ শুরু করা সম্ভব।
শনিবার দুপুরে সিলেট প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত দেশের পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মামলায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
দেশের পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে সকালে সিলেটে আসেন তাজুল ইসলাম।
মানবতাবিরোধী গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিচারের সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন মামলা বিচারের রায় কবে হবে সেটা চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে আমি বলতে পারি না। আমরা আপনাদেরকে যেটা বলতে পারি শেখ হাসিনাসহ প্রধান প্রধান কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এ মাসের মধ্যেই আমরা পাব বলে আশা করছি।যদি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনগুলো হাতে পাই তাহলে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেই বোঝা যাবে ঠিক কতদিন লাগবে শেষ হতে। কারণ বিচারিক যে তথ্য প্রমাণ ও দুই পক্ষের সাক্ষী রয়েছে সে বিষয়গুলো উত্থাপন করতে ঠিক কত সময় লাগবে তা আদালতের এখতিয়ার।তবে আমাদের পক্ষ থেকে চাইব প্রতিদিনই ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বিরতিহীনভাবে চলবে। সেটা যত দ্রুত সম্ভব- কিন্তু বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত রেখে সেই বিচার করতে হবে।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, দেখুন শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে যে আইনগত পদ্ধতিগুলো আছে তার একটি হচ্ছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা সেটা সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। যখনই ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেয়েছি সেটার আলোকে ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত তিনি যেহেতু ভারতে অবস্থান করছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে অপরাধীর বহিঃসংরক্ষণ চুক্তি। সেটা ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারই করেছিল। সেই চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া কোনো আসামি ভারতে যদি থাকে তাকে প্রত্যার্পণে ভারত বাধ্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারত সেটা পেয়েছে কিন্তু এখনো কোনো জবাব দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা অপরাধীর পক্ষ নেবেন নাকি গণহত্যাকারীদের ন্যায় বিচারের পক্ষে আইনের শাসনের পক্ষে অবস্থান নেবে। সেই কারণে আমরা আশা করছি ভারত তাকে প্রত্যার্পণ করবে। যদি না করে তবে তার অনুপস্থিতিতে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বিচারের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা চলমান থাকবে।