শ্রম সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান
সড়কে সব দুর্ঘটনায় জন্য গাড়ি চালক-হেলপার দায়ী নয়

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫২ এএম

সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সড়কে সংঘটিত সব দুর্ঘটনার জন্যই চালক ও হেলপারকে দায়ী করার প্রবণতা রয়েছে। এই প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ওয়ার্ক অ্যান্ড হেলথ সেফটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেন্টার এই আয়োজিত ‘বিদ্যমান সড়ক ব্যবস্থাপনা, দুর্ঘটনা প্রশমনে কতটুকু কার্যকর’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার গাড়ি চালকরা অংশ নেন।
সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চালককে দায়ী করার প্রবণতা রয়েছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য চালক-হেলপার দায়ী থাকেন না। বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। এর জন্য সড়ক অবকাঠামো, গাড়ি, পথচারী, চালকও দায়ী থাকে।
বিচার ছাড়া চালককে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চালক দোষী হলে তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে শান্তি দিতে হবে। কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলে চালককে দোষী বলা বা গ্রেফতার করা যাবে না।
এ সময় শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সবচেয়ে দামি গাড়িতে দামি মানুষ চলেন। আর সেসব দামি মানুষকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর দায়িত্ব থাকে চালকদের ওপর। চালকের মনে যত কষ্টই থাকুক তার কাজ যাত্রীদের সেবা দেওয়া। চালকের প্রতি রাষ্ট্র ও গাড়ি মালিকের দায়িত্ব রয়েছে। গাড়ির চাকা ঘুরলে মালিকের পকেটে টাকা আসে। সে চাকা যে ঘুরায় তার দায়িত্ব মালিককে নিতে হবে।
তিনি বলেন, চালকের বিশ্রাম নেওয়ার দরকার কতটুকু আর সে তুলনায় সুযোগ কতটা আছে সেটা দেখতে হবে। শুধু চালকদের অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেশের পরিবহণ ব্যবস্থা ভালো হবে না।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ক অ্যান্ড হেলথ সেফটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেন্টারের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সেলিম।
বৈঠকে আরও অংশ নেন বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, বিআরটিএ পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শীতাংশু শেখর বিশ্বাস, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, হৃদ্রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জয়ন্ত মালাকার এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নাসির উদ্দিন আহমেদ জুয়েল।