‘শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের’ মুখপাত্র ও আহ্বায়ক কমিটি গঠন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম

২০০৯ সালে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের’ মুখপাত্র ও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে কাজ করা, শহিদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন— শহিদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস, শহিদ লে. কর্নেল ইনশাদ ইবনে আমিনের স্ত্রী ডা. রোয়েনা মতিন, শহিদ মেজর মোসাদ্দেকের স্ত্রী কোহিনূর হোসাইন, শহিদ মেজর মোহাম্মাদ সালেহের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, শহিদ মেজর মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী রিতা রহমান জুলি, শহিদ কর্নেল কুদরত এলাহী রহমান শফিকের সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান, শহিদ লে. কর্নেল লুৎফর রহমান এর সন্তান ডা. ফাবলিহা বুশরা, শহিদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের সন্তান আশরাফুল আলম হান্নান।
সোমবার রাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৬ বছর ধরে শহিদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে কাজ করছে তারই ধারাবাহিকতায় এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহিদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।’
বিগত দিনগুলোতে গণমাধ্যমে নিয়মিত এ বিষয়ে মন্তব্য দিয়ে এসেছে এবং গোটা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অবগত, এমন কয়েকজনকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে আহ্বায়ক কমিটিতে নির্বাচিত করা হয়েছে, যারা মূলত শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ করে ‘শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি নতুন সংগঠনটি।