Logo
Logo
×

জাতীয়

সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের

দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ যাতে অংশ নিতে পারেন সেজন্য তাদের সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। 

মঙ্গলবার ওসমানী মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কার্য-অধিবেশনে তারা এ প্রস্তাব দেন। উপদেষ্টা পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আব্দুল হাফিজ বলেন, সিভিল মিলিটারি কোঅপারেশন কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে ডিসিরা প্রশ্ন করেছিলেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে ওরিয়েন্টেশন করেন, এই ওরিয়েন্টেশনগুলো করা সম্ভব কি না? যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিকবাহিনী বা সশস্ত্রবাহিনীর বোঝাপড়া আরও বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, আর একটা প্রশ্ন ছিল- আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সাল মিলিটারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।  যেখানে যুবসমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তারা অংশ নিতে পারেন।

যুব সমাজের সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়ে আপনারা কী বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হাফিজ বলেন, আমাদের চিফ অব জেনারেল স্টাফ বলেছেন-আমাদের আনসার ভিডিপির মাধ্যমে প্রত্যেক উপজেলায় প্রত্যেক ইউনিয়নে একটা করে কোম্পানিকে অলরেডি ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। একজন ডিসি অনুরোধ করেছিলেন- এটাকে আরও ব্যাপক আকারে করা যায় কিনা। এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। আমরা চিন্তা করতেই পারি এবং আমরা জানিয়েছি এটা যদি সরকার নির্দেশনা দেয়, জনগণের সিদ্ধান্ত সরকারের সিদ্ধান্ত। নির্দেশনা পেলে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী এটা করতে প্রস্তুত।

আব্দুল হাফিজ বলেন, ডিসিরা কয়েকটি জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে চান। রিমোট জায়গায় বা চরাঞ্চলে যেখানে বেশি পরিমাণ ফোর্স দরকার বা লজিস্টিক নিয়ে যেতে হবে, এ ধরনের এলাকায় তারা অভিযান পরিচালনা করতে চান।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সেই কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কিভাবে উত্তরণ করতে পারি, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, আমরা বলেছি- কুকি চিনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান, সেটা চলছে এবং এ পর্যন্ত কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন এবং অনেক আহত হয়েছেন। তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত, এ অভিযান চলবে।

দু-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো কিভাবে ধ্বংস করা যায়- সেই বিষয়ে ডিসিদের প্রশ্ন ছিল।

রমজানে দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনার বিষয়ে আব্দুল হাফিজ বলেন, আমি বলেছি- রমজান মাস আসছে, সেখানে তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। দ্রব্যমূল্য তাদের নিজ জেলায় কম রাখতে পারেন, সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায়, কৃষকেরা যাতে সেচ ও কৃষি উপকরণ সময়মতো পান, সেসব বিষয়ে বলেছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম