এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে না চালানোর নির্দেশ, চালালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম

গ্রীষ্মে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ সোমবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) চালানো যাবে না। যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কম তাপমাত্রায় এসি চালায়; তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ফাওজুল কবির বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯০০০ মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে ১৭০০০ থেকে ১৮০০০ মেগাওয়াট হয়ে যায়।
ফাওজুল কবির বলেন, দুটো কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। একটি হচ্ছে সেচ। সেচে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা আমরা দিতে চাই। এর বাইরে ৫০০০-৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালানোয়। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২–৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারব।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, এসি এখন শুধু শহরে নয়, গ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার হয়। অনেকে সোয়েটার, কোট পরে এসি চালায়। আমাদের দেশে এত কম তাপমাত্রার দরকার নেই।
তিনি বলেন, এজন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, যেসব লাইনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে সেখানে লোডশেডিং করব। বাধ্য হয়ে যদি লোডশেডিং করতে হয় তাহলে আগেই জানিয়ে দেব। শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। কেপিআই বাদ দিয়ে সমানভাবে লোডশেডিং করব। লোডশেডিং শুরু হলে আমার বাসা থেকে শুরু হবে।