শেষ হলো ইজতেমা
বিশ্ব মুসলিমের শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাত

যুগান্তর প্রতিবেদন, গাজীপুর ও টঙ্গী পূর্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২১ পিএম
-67b1a01c3aba4.jpg)
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা সাদের বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
রোববার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের আসেন মুসল্লিরা।
তিনদিন ধরে তাবলীগ জামায়াতের নানামুখী শিক্ষা শেষে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। টানা ২৯ মিনিটের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার সর্বশেষ পর্ব। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো ময়দান।
মোনাজাত উপলক্ষে মুসুল্লিদের বাড়ি ফেরার সুবিধায় রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে ৮টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫টি বিশেষ ট্রেন ছাড়া সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে টঙ্গি স্টেশনে।
ইজতেমার পার্শ্ববর্তী মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক এবং মুসুল্লিদের নিরাপদে যাত্রা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ।
নিজামুদ্দিন মারকাজের অনুসারী মুরুব্বি ও মুসুল্লিদের দাবি, সকল ভেদাভেদ ভুলে সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ইজতেমা আয়োজন ও আগামী পর্বে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা আয়োজন করা হয়। ১৯৬৬ সালে গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান ময়দানে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা। গত ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের আয়োজনে টানা ৬ দিনব্যাপী প্রথম পর্বের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মাঝে ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন।