আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি মরক্কোতে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়ে তুলে ধরার আহবান জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট প্রত্যাশা- শীর্ষক সংবাদ সন্মেলনে এ আহবান জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন,  একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইনের দীর্ঘদিনের দাবি দেশের তরুণ কিশোরসহ আপামর জনসাধারণের। 

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ দাবি আরও জোরালো হয়। এরপর সরকার ‘সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮’ পাশ করে। 

নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইন পাশ করা হলেও তাতে সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ের ঘাটতি ছিল, যার সিংহভাগ ছিল পরিবহণ বা যানবাহন কেন্দ্রিক। ফলশ্রুতিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির ঘটনা নৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বৈশ্বিক পরিকল্পনায় সুপারিশ করা পাঁচটি ক্ষেত্রকেও (বহুমুখী পরিবহণ ব্যবস্থা ও যথাযথ ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, দুর্ঘটনা-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা) এর আওতাভুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে সরকার মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা জারি করলেও তা বাস্তবায়ন এবং প্রয়োগের নির্দেশনা না থাকায় তার সুফল মিলছে না। অতএব সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতিসীমা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করা। সরকারের উচিত মোটরসাইকেল চালকদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট নির্দেশিকা তৈরি করা।

ইলয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। অতএব কনফারেন্সের খসড়া ঘোষণাপত্রের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের প্রতি অঙ্গীকার’ বিষয়ে সরকারকে যেমন গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে, তেমনি খসড়া ঘোষণাপত্রে দেশের অঙ্গীকারসমূহকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ব্র্যাক) খালিদ মাহমুদ, সিআইপিআরবির অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রকল্প কর্মকর্তা শারাফাত-ই-আলম, রোড সেফটি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী রোরহান উদ্দিন প্রমুখ।