সাবেক বিডিআর সদস্যদের দাবি মানার আশ্বাস

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৫ এএম

ছবি: সংগৃহীত
দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা। বুধবার ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার এ কথা জানান।
এর আগে চাকরিতে পুনর্বহাল, বন্দিদের মুক্তিসহ আট দফা দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তারা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে যেতে চাইলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান দিয়ে পানি নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের প্রস্তাব দিলেও তারা সে সময় নাকচ করেন। পরে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জাস্টিস ফর বিডিআর কর্মসূচি পালনে সেখানে অবস্থান করেন তারা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। পরে তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওয়ানা দেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বিডিআর সদস্যরা শহিদ মিনার থেকে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার পথে হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। বেলা ১টার কিছু আগে তারা সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে শিক্ষা ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। তারা বাধা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ জলকামান দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে আটকানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনের এলাকায় ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তখন আব্দুল গণি রোডের খাদ্য অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ ভবনের সামনে তাদের আটকে দেওয়া হয়। তারা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে সেখানে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।