চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তৃতা করেন গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুন, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিকভিত্তিক পিয়ন কাম-গার্ড হিসেবে কর্মরত তিন হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত আছি। বাংলাদেশের শ্রম আইন অমান্য করে এবং গ্রামীণ ব্যাংক তার নিজের তৈরি আইন না মেনে আমাদের ৩২ বছর ধরে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। 

নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, ৯ মাস পর চাকরি স্থায়ীকরণ করার কথা বলা থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে এ বিধান মানা হচ্ছে না। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা দ্বারা সবসময় হয়রানি, কারণ ছাড়াই ছাঁটাই, কাজে যোগদানে বাধা, বিনা বিশ্রামে কাজ করতে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছি। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে দেশে আজ নতুন সরকার এসেছে। কিন্তু আমরা যারা গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করি, তারা সেই আগের মতোই বৈষম্যের শিকার হয়ে আছি।  গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দেশের প্রধান উপদেষ্টা স্যারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন- নিম্নোক্ত দাবি বাস্তবায়ন করে আমাদের বৈষম্যমুক্ত করবেন।

তাদের দাবি হলো-

১. অবিলম্বে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দৈনিকভিত্তিক পিয়ন কাম-গার্ড হিসেবে কর্মরত সব কর্মীকে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়োগ বিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী স্থায়ীকরণ করতে হবে।

২. দাবি আদায়ের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে যেসব কর্মীকে চাকরিতে যোগদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে যোগদান এবং স্থায়ীকরণ করতে হবে।

৩. বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন-ভাতা, বোনাস, কর্মঘণ্টা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ যাবতীয় সুবিধাদি দিতে হবে।

৪.বাংলাদেশ ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ও গ্র্যাচুইটিসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা দিতে হবে।

৫. নিয়োগ বিধি অনুযায়ী দৈনিকভিত্তিক পিয়ন কাম-গার্ড পদের কর্মীদের উল্লেখিত ৯ মাস কর্মরত থাকার পর হতে স্থায়ী কর্মী হিসেবে গণ্য করে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে যথোপযুক্ত বকেয়া বেতন-ভাতাদি দিতে হবে।