Logo
Logo
×

জাতীয়

‘স্যার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, না হলে বেইনসাফ হবে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০১ পিএম

‘স্যার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, না হলে বেইনসাফ হবে’

ড. আসিফ নজরুল ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ফেসবুক ইনবক্সে প্রতিদিন শত-শত প্রবাসী নিজেদের দুঃখ-কষ্টসহ নানা অভিযোগ জানান বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এসব অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান হাসনাত।

সেই পোস্টের কমেন্টে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে মেনশন দিয়ে লেখেন, ‘Dr. Asif Nazrul স্যার এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি বেইনসাফ করা হবে। ’

এদিকে পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘প্রতিদিন শত-শত রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমাদের ইনবক্সে তাদের দুঃখ কষ্টের কথা জানান। অসংখ্য ভাই নিচের অভিযোগগুলো মেসেজটি বারবার করে পাঠাচ্ছেন। প্রবাসীদের বিষয়গুলো দ্রুত সময়ে অ্যাড্রেস করুন।’

প্রবাসীদের নিয়ে কয়েকটি এজেন্সির সিন্ডিকেট দ্বারা ভয়াবহ জালিয়াতি। বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি-

১. সৌদি রুটে গ্রুপ টিকিটের দাম বেড়েছে: আগে যেখানে গ্রুপ টিকিটের মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিল। এখন সিন্ডিকেট করে প্রতিটি টিকিট ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

২. ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাস: আগে প্রতি সপ্তাহে ৯৮টি ফ্লাইট চলত কিন্তু এখন তা কমিয়ে মাত্র ৪৪টি করা হয়েছে।

৩. সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি: কিছু এজেন্সি আগাম বিনিয়োগ করে ৪ থেকে ৫টি এজেন্সির মাধ্যমে গ্রুপ টিকিট কৃত্রিম সংকটে রেখেছে। দ্রুত এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া জরুরি।

৪. ব্ল্যাঙ্ক সিট বুকিং দেখিয়ে সংকট আরও বৃদ্ধি: ফ্লাইটগুলোতে খালি সিট থাকা সত্ত্বেও, ব্ল্যাঙ্ক সিট দেখিয়ে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।

৫. এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি: বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীদের হয়রানি করে তাদের ফ্লাইট মিস করানো হচ্ছে, এরপর অন্য যাত্রী কন্ট্রাক্টে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতি কন্ট্রাক্ট ১ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

৬. ম্যানপাওয়ার ভিসা সংক্রান্ত দুর্নীতি: ম্যানপাওয়ার ভিসা অ্যাটেস্টেডের নামে BMET বন্ধ রেখেছে অথচ সৌদি-বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে কনস্যুলার জানান তারা এ বিষয়ে অবগত নন।

৭. অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে: কিছু এজেন্সি এবং BME এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজশে প্রতি ম্যানপাওয়ার ভিসার জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছে। এই চক্র প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রবাসীদের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ উল্লেখ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম