আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ সরকার যখন পুরো দেশকে শাটডাউন ঘোষণা করে, তখন প্রবাসীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রেমিট্যান্স শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশের মাটিতে আন্দোলন করেছেন এবং খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। রোববার রাজধানীর বাংলামটরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৩০টি দেশের ৭৫ জনকে নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির ডায়াসপোরা কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

সারজিস আলম আরও বলেন, প্রবাসীরা অর্থনীতির স্টেকহোল্ডার। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখে। তাদের যখন আমরা প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। তখন তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই তাদের অশংগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। এয়ারপোর্ট, পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং এম্বাসিসহ সব জায়গায় তাদের যতটুকু সম্মান তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। 

নির্বাচনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থেকে দেশকে সাপোর্ট করছে। তাদের মধ্যে থেকে আমরা একাধিক মানুষ চাইÑযারা সংসদে গিয়ে পলিসি মেকিংয়ের কাজ করবে। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সংসদে আসা উচিত এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিনিধি থাকা উচিত। আমরা এই জায়গাগুলোতে প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। 

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে খুনি হাসিনা বাংলাদেশের মিডিয়ার গলা চেপে ধরেছিল। তারা ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে নজরদারি করত। সেই পরিস্থিতিতে অনেক সাংবাদিক বিদেশ থেকে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারাসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।