গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম

ফাইল ছবি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম। রোববার সচিবালয় গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের সহায়তা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ফারুক-ই আজম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিষয়টি নিয়ে অতি গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে। শহিদদের ব্যাপারেও সরকার দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের ব্যাপারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা হচ্ছে। আশা করা যায় এ সপ্তাহের মধ্যে তালিকা সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি অধিদপ্তর করতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটার কাজও প্রায় সম্পন্ন। এ অধিদপ্তরের অধীনে একটি নীতিমালা হচ্ছে, তাদের কী ধরনের পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া হবে। সরকার দ্রুততম সময়ে এ কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার অতি বেশি সহানুভূতিশীল যারা আহত হয়েছেন এবং শহিদদের পরিবারের প্রতি। তাদের ত্যাগ অমোচনীয়। তাদের আত্মত্যাগের গৌরব অমলিন রাখতে চাই। অনাগত কালেও ত্যাগ যেন মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, অধিদপ্তরের নীতিমালার অধীনে পুনর্বাসন, ভাতা, এককালীন সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। এ জন্য এ বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছি। ২৩২ কোটি পেয়েছি এ অর্থবছরের জন্য। এ অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র শহিদদের পরিবারকে দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আহতদের ক্যাটাগরি ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে এ অর্থবছরে। তাদেরকে সারা জীবনের জন্য চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের আছে। আহতদের পুনর্বাসন ও সারা জীবনের চিকিৎসা নীতিমালার অধীনে সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আহতদের দিক থেকে কোনো শঙ্কা হয়তো তৈরি হয়েছে। তারা দাঁড়াতেই পারে। সরকার অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে তাদের বিষয় দেখছে। মন্ত্রণালয় থেকে কিছু করতে গেলে তার কয়েকটি ধাপ, ধারা আছে। তাই রাতারাতি করা যায় না। সরকার চাইছে, স্থায়ীভাবে তাদের জন্য কিছু করতে। তাদের ত্যাগকে গ্লোরিফাই করতে চাচ্ছি। জুলাই অভ্যুত্থানের ত্যাগ সমুজ্জ্বল রেখে সব কাজ করতে চাই। বিধিবদ্ধভাবে তাদের সব সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।