স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বিকল্প নেই: প্রধান বিচারপতি
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
![স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের বিকল্প নেই: প্রধান বিচারপতি](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/01/3-679e54f791f8d.jpg)
ফাইল ছবি
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেন, দুর্বল তদন্ত ও অপেশাদার প্রসিকিউশন বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায়। ন্যায়বিচার রক্ষায় কৌঁসুলিরা যাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন- সেজন্য প্রসিকিউটরদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার রাজশাহীর একটি তারকা হোটেলে ‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারের কাছে পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এটি বিবেচনাধীন।’ বাংলাদেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি আধুনিক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
সেমিনারে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথক সচিবালয় বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে সরকারের নিকট পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য একটি বিশদ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে সেটি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন। বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়নে আইনি সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন।