অবৈধ সম্পদ অর্জন
সাবেক গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী শরীফের বিরুদ্ধে মামলা
স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালকদের সম্পদের হিসাব তলব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
জ্ঞাতআয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকিং চ্যানেলে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ময়মনসিংহ ২ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তলবে হাজির না হওয়ার কারণে তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দুই শ্যালকের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করেছে সংস্থাটি। কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, শরীফ আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৪০৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেন। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ও তা ভোগ দখলে রাখেন। এ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশে বলা হয়, শরীফ আহমেদের স্ত্রী শেফালী বেগম, শ্বশুর গোলাম মোস্তফা, শাশুড়ি জাহানারা বেগম, শ্যালক মো. শাহ আলম ও মোহাম্মদ শামীম নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তাদের ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। লেনদেন করা অর্থের উৎস কী তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা বক্তব্য প্রদানের জন্য হাজির না হওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এছাড়া ওই নোটিশে আরও বলা হয়, বিপুল পরিমাণ লেনদেনকৃত অর্থ অন্য কোনো মাধ্যমে বিনিয়োগ, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে তারা কোনো অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন কিনা এবং ওই সম্পদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের স্বীয় সম্পদ মর্মে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ব্যাপক লেনদেনের বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য উলিখিত ব্যক্তিদের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।