
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৫ পিএম

ফাইল ছবি
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জনকে হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে, টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জন আগাম জামিন পেয়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগাম জামিন চেয়ে ২৩ জনের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আইনজীবী শাহীন হাওলাদার। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান শুনানিতে ছিলেন।
জামিন আবেদনকারীদের আইনজীবী শাহীন হাওলাদার বলেন, ২৩ জনের জন্য আগাম জামিন চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত সময়ের জন্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জনকে আগাম জামিন দেন।
আইনজীবী শাহীন হাওলাদার আরও বলেন, মামলায় জামিন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই, নেই চাক্ষুষ সাক্ষীও। এমনকি নিহত তথা ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করেননি। এমন যুক্তি তুলে ধরে জামিন আবেদন করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। মামলার বাদী আলম হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামে। বাবার নাম এস এম মোক্তার হোসেন। আলম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার আলমি শুরার সাথি।
মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই হামলায় প্রাণ হারান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে আমিনুল ইসলাম (৬৫), ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত শেখ সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) ও বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামের ওমর উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম।