রাতের ভোটের ‘কারিগর’ ৬৪ এসপি
খোলস পালটিয়ে অনেকেই বাগিয়ে নিয়েছেন প্রত্যাশিত পোস্টিং
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন সিদ্ধান্তে ফের আলোচনায় এসেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে ওই সময়ের পুলিশ সুপারদের (এসপি) ভূমিকাও। ২০১৮ সালের ওই নির্বাচনের কুশীলবদের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময় জেলার এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওইসব এসপির মধ্যে একজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। অন্তত দুজন আছেন কারাগারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত আছেন অনেকেই। খোলস পালটিয়ে বেশ কয়েকজন ভালো জায়গায় পোস্টিং নিয়েছেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে দুজনকে। কেউ কেউ ভালো পোস্টিংয়ের জন্য লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাহ মিজান শাফিউর রহমান : বাংলাদেশ পুলিশের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তিনি ঢাকা জেলার এসপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ডিআইজি হিসাবে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত আছেন। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত তিনি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। ২০০১ সালে পুলিশে যোগ দিলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হওয়ার পর থেকে দ্রুত উন্নতি ঘটে।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম : বিসিএস পুলিশের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলাম ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় কুমিল্লা জেলার এসপি ছিলেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে পুলিশ একাডেমি সারদায় সংযুক্ত করা হয়। এর আগে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও উপকমিশনারের (ওয়ারী ও মতিঝিল বিভাগ) দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা জেলার এসপি হিসাবেও কর্মরত ছিলেন।
জিহাদুল কবির : ২০১৮ সালে নির্বাচনকালীন জিহাদুল কবীর ছিলেন চাঁদপুর জেলার এসপি। ২০তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা বর্তমানে ডিআইজি হিসাবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই) ঢাকায় কর্মরত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার। এর আগে তিনি মেট্রোরেল (এমআরটি) পুলিশের ডিআইজি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তিনি শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি এবং ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সালে পুলিশ সুপার হিসাবে মাগুরা জেলার দায়িত্ব পান। পরে রাজবাড়ী এবং পাবনা জেলার এসপি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কাড়াপাড়া গ্রামে।
হারুন অর রশীদ : আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক আলোচিত কর্মকর্তা ছিলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি। ২০১১ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে লাঠিপেটা করে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ২০২১ সালে পদোন্নতি পেয়ে হন অতিরিক্ত ডিআইজি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) যোগ দেন যুগ্ম-কমিশনার হিসাবে। এর এক বছরের মধ্যে ২০২২ সালে পদোন্নতি পেয়ে হন ডিআইজি (এক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয় অনেক প্রত্যাশী কর্মকর্তাকে)। পদোন্নতির পরপরই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডিএমপি ডিবির প্রধান হিসাবে। জুলাই বিপ্লবের সময় ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখার ঘটনায় তাকে বদলি করা হয় ডিএমপি সদর দপ্তরে। দায়িত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হিসাবে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
মিরাজ উদ্দিন আহমেদ : ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় নরসিংদী জেলার এসপি ছিলেন মিরাজ উদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে ডিআইজি হিসাবে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত আছেন। এর আগে তিনি রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নূরে আলম মিনা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মোহম্মদ নূরে আলম মিনা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার এসপি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে তিনি চট্টগ্রামের ডিআইজি ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ একাডেমি সারদায় আছেন। নূরে আলম মিনা ২০১২ সালে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলায় এবং ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত সিলেট জেলার পুলিশ সুপার পদে ছিলেন।
এবিএম মাসুদ হোসেন : এবিএম মাসুদ হোসেন ছিলেন কক্সবাজার জেলার এসপি। অবসরপ্রাপ্ত মেজন সিনহা হত্যার ঘটনায় তিনি ছিলেন ব্যাপক আলোচিত। পরে তাকে এসপি হিসাবে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে পাদোন্নতি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম : সাইফুল ইসলাম ছিলেন বরিশালের এসপি। ইতোমধ্যে ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়। এর আগে তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বরিশাল ও বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে উপপুলিশ কমিশনার (বন্দর) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাশরুকুর রহমান খালেদ : ২০১৮ সালে কিশোরগঞ্জে এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মাশরুকুর রহমান খালেদ। পরে তাকে পদোন্নতি দিয়ে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে ডিএসপি ডিবির উপকমিশনারসহ বিভিন্ন সময়ে নানা পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি খুলনায় সংযুক্ত।
মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন : মাদারীপুরের তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে সিআইডিতে আছেন। তিনি ডিএমপি বা পুলিশ সদর দপ্তরে পদায়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রিফাত রহমান শামীম : বিতর্কিত নির্বাচনের সময় মানিকগঞ্জের এসপি ছিলেন রিফাত রহমান শামীম। ইতোমধ্যে তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। পদোন্নতির পরও তিনি গুলশানের ডিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি ডিবির ডিসিসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি অনেকটা লাপাত্তা হয়ে যান। তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।
মোকতার হোসেন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মোকতার হোসেন ছিলেন ভোলার এসপি। সেখানে কর্মরত থাকাকালীন জড়িয়ে পড়েন নারী কেলেঙ্কারিতে। নারী কনস্টেবলের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কের একাধিক অডিও ভাইরাল হওয়ার পরও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান। বর্তমানে তিনি সংযুক্ত অবস্থায় আছেন।
ইলিয়াছ শরীফ : ইলিয়াছ শরীফ ছিলেন নোয়াখালী জেলার এসপি। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি বরিশাল রেঞ্জর ডিআইজি ছিলেন। বর্তমানে এটিইউতে সংযুক্ত।
মো. শহিদুল্লাহ : মো. শহিদুল্লাহ ছিলেন রাজশাহীর এসপি। বর্তমানে খুলনা রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে সংযুক্ত। এর আগে তিনি ডিএমপির ডিবি এবং উত্তরা বিভাগের ডিসিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যরা এখন যেখানে : ২০১৮ সালে আনোয়ার হোসেন খান ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি। তিনি বর্তমানে রেঞ্জে রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) চট্টগ্রামের কমান্ডিং অফিসার। মারুফ হোসেন ছিলেন বরগুনার এসপি। বর্তমানে তিনি পুলিশ ট্রেনিং কলেজ খুলনায় আছেন। পঙ্কজ চন্দ্র রায় ২০১৮ সালে ছিলেন বাগেরহাটের এসপি। বর্তমানে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত।
চুয়াডাঙ্গার এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী মাহবুবর রহমান অ্যান্টি টোরোরিজম ইউনিটে (এটিইউ) সংযুক্ত অবস্থায় আছেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনকালীন আলী আশরাফ ভূঁইয়া বগুড়ার এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়দ আবু সায়েম ছিলেন দিনাজপুরের এসপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় জাকির হোসেন খান ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার। বর্তমানে পিবিআইয়ে সংযুক্ত আছেন। জাহাঙ্গীর আলম সরকার ছিলেন ফেনীর পুলিশ সুপার। মাদ্রসাছাত্রী নুসরাত হত্যার ঘটনায় তিনি ছিলেন ব্যাপক সমালোচিত।
আব্দুল মান্নান মিয়া ছিলেন গাইবান্ধার এসপি। বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত। গাজীপুরের এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী সামসুন্নাহার বর্তমানে রাজশাহী পুলিশ একাডেমি সারদায় সংযুক্ত। গোপালগঞ্জের ওই সময়ের এসপি সাঈদুর রহমান খান আছেন পুলিশ স্টাফ কলেজ ঢাকায়। ওই সময়ের হবিগঞ্জের এসপি মুহাম্মদ উল্লাহ বর্তমান পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে কর্মরত আছেন। জয়পুরহাট জেলার তৎকালীন এসপি রশীদুল হাসান এখন কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।
জামালপুরের এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী দেলোয়ার হেসেন এখন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার। যশোরের তৎকালীন এসপি মঈনুল হক আছেন পুলিশ একাডেমি সারদায়। ঝালকাঠি জেলার এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী জুবায়েদুর রহমান মাসখানেক আগে হৃদরোগে মারা গেছেন। ঝিনাইদহের এসপি ছিলেন হাসানুজ্জামান। তিনি বর্তমানে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি। আহমার উজ্জামান ছিলেন খাগড়াছড়ির এসপি। পরে তাকে ময়মনসিংহের এসপি হিসাবে বদলি করা হয়। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় অতিরিক্তি ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান।
২০১৮ সালের নির্বাচনকালীন খুলনার এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী এসএম শফিউল্লাহ বর্তমানে কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি। কুড়িগ্রামের তৎকালীন এসপি মেহেদুল করিম এখন রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ডিং অফিসার। কুষ্টিয়ায় এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এসএম তানভীর আরাফাত গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন।
লক্ষ্মীপুরের ওই সময়ে এসপি আ স ম মাহাতাব উদ্দিন এখন রাজশাহীতে সংযুক্ত আছেন। লালমনির হাটের এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী এসএম রশিদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খান মোহাম্মদ রেজওয়ান ছিলেন মাগুড়ার এসপি। তিনি এখন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি। মেহেরপুরের তৎকালীন এসপি মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশের একটি ইউনিটে সংযুক্ত।
মৌলভীবাজারের ওই সময়ের এসপি শাহ জালাল এখন পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে কর্মরত। মুন্সীগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এখন লাপাত্তা। ময়মনসিংহের এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা শাহ আবিদ গোসেন এখন ডিআইজি। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশে সংযুক্ত। নওগাঁর তৎকালীন এসপি ইকবাল হোসেন এখন হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত।
জানা যায়, নাটোরের সাবেক এসপি বিপ্লব বিজয় তালুকদার পুলিশ টেলিকমে সংযুক্ত আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তৎকালীন এসপি এটিএম মোজাহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে আছেন এটিইউতে। নেত্রকোনার সাবেক এসপি জয়দেব চৌধুরী আছেন খুলনা রেঞ্জে সংযুক্ত অবস্থায়। নীলফামারীর তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন রয়েছেন গা ঢাকা অবস্থায়। নড়াইলের ওই সময়কার এসপি মোহম্মদ জসিম উদ্দিন বর্তমানে কোথায় আছেন, জানা যায়নি।
পাবনার তৎকালীন এসপি শেখ রফিকুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। পঞ্চগড়ে এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এখন এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি। তিনি ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতির চেষ্টা চালাচ্ছেন। পটুয়াখালীর তৎকালীন এসপি মইনুল হাসানের বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি। পিরোজপুরের তৎকালীন এসপি বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে ভালো অবস্থায় আছেন। রাজবাড়ীতে এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী আসমা সিদ্দিকা মিলি রাজশাহী রেঞ্জে সংযুক্ত।
আরও জানা যায়, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় মিজানুর রহমান ছিলেন রংপুর জেলার এসপি। ওই সময় রাঙামাটির এসপি ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত। সাতক্ষীরার তৎকালীন এসপি সাজ্জাদুর রহমান এবং শরীয়তপুরের এসপি আব্দুল মোমেন এখন কোথায় আছেন, জানা যায়নি। শেরপুরের তৎকালীন এসপি কাজী আশরাফুল আজীম ও টাঙ্গাইলের এসপি সঞ্জিত কুমার রায় আছেন পলাতক অবস্থায়।
সিরাজগঞ্জের ওই সময়ের এসপি টুটুল চক্রবর্তী আছেন নৌপুলিশে। সুনামগঞ্জের ওই সময়ে এসপি বরকতুল্লাহ খান অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে হাইওয়ে পুলিশে এবং ঠাকুরগাঁওয়ের এসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আছেন এটিউতে। পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত আছেন সিলেটের ওই সময়ের এসপি মনিরুজ্জামান।