বিএসএমএমইউতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
আওয়ামীপন্থি ডাক্তার নার্সদের বিরুদ্ধে মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় আওয়ামীপন্থি অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন ডাক্তার-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বুধবার বলেন, ৪ আগস্ট ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিম পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শাহবাগ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছিল। ওই সময় বিএসএমএমইউয়ের ভেতরে ও ১ নম্বর গেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত স্বাচিপসহ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা স্লোগান দিলে প্রশাসনিক ভবনের ভেতর থেকে এবং ছাদের ওপর থেকে ২৫-৩০ জন ডাক্তার, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও ভারী বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে অনেক আন্দোলনকারী মারাত্মক জখম হন, যা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখা যায়।
এজহারে আরও বলা হয়, বিবাদীরা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাখা হাসপাতালের গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে চিহ্নিত। হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০-৩৫টি গাড়ি ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ছাড়া কেবিন ব্লকের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়।