Logo
Logo
×

জাতীয়

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম

চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক  খুবই গুরুত্বপূর্ণ

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। আমাদের অনেক প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ আছে। এগুলো মূলত ঋণ আকারে। এর মধ্যে কিছু প্রকল্প চলমান।

বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন সফর বিষয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ২০ জানুয়ারি তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। 

এম তৌহিদ হোসেন বলেন, আলাপ-আলোচনার মধ্যে প্রথমে ব্যবসায়িক বিষয়গুলো আসবে। আপনারা জানেন, অফিশিয়ালি চীন আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। আন-অফিশিয়ালি ভারতকেও বড় অংশীদার বলা হয়। চীনের সঙ্গে আমাদের প্রধানত আমদানির সম্পর্ক এবং এগুলো আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ, আমাদের অনেক রপ্তানি সেই আমদানি পণ্যগুলোর ওপর নির্ভরশীল। কাজেই চীনের সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও অর্থনৈতিক আলোচনা আছে যেমন: আমরা ঋণের শর্তাবলি নিয়ে কথা বলব। এর মধ্যে সুদহার কমানো বা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো প্রভৃতি। উপদেষ্টা বলেন, চীনের কাছে এটাও চাইব যখন আমরা এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট করব; তখন ইউরোপের মতো তারাও যেন আমাদের জন্য তিন বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রাখে।

আপনারা জানেন, এখনো চীন আমাদের অধিকাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু গ্র্যাজুয়েশনের পর এটা পরিবর্তন হতে পারে, তাই এটি আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আগেই ঠিক করে নিতে হবে। এছাড়া কিছু কালচারাল আলোচনা আছে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে দুই দেশেই কিছু উৎসব আছে। সেগুলো নিয়েও আমরা কথাবার্তা বলব।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক হোঁচট খাবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দিন তথা ২০ জানুয়ারি বেইজিং সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। মার্কিন নতুন প্রশাসনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হচ্ছে কি নাÑজানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে।

জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বা এরকম বড় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, সেটা কিন্তু সরকার স্পেসিফিক হবে না।নতুন সরকার এলে তাদের কিছু বক্তব্য থাকতে পারে, সেটা আমরা দেখব। স্পেকুলেশন করার কিছু নেই। আমি কবে গেলাম চীনে, সেটা কোনো বিষয় না। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে হোঁচট খাবে না। আমরা মনে করি, এটা স্মুথলি চলবে।

সম্পর্ক একটা বহমান ধারা উলে­খ করে উপদেষ্টা বলেন, এটায় পারস্পরিক চাওয়াপাওয়ার হিসাব সবসময় একটু-আধটু পরিবর্তন হয়। এরকম যখন হবে, তখন আমরা সেই অনুযায়ী আমাদের পদক্ষেপ নেব এবং আমরা নিতে পারব বলে আমি মনে করি।

এ সময় ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চান না জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রÑতিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই একটা ভারসাম্য সম্পর্ক রক্ষা করব। আমরা কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমাদের নিজেদের স্বার্থরক্ষায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দেশটি সফর করবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে রওয়ানা করব। ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারিÑতিনদিনের সফর। ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসব।

সফরসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২১ জানুয়ারি রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। তারপর সাংহাই যাব। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে হবে। এর বাইরে দুটি শিল্পকারখানা আমাদের দেখানো হবে। একটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ির (ইভি) কারখানা এবং আরেকটি ফ্রুটস প্রিজারভেশন সংক্রান্ত। তাদের নতুন এসব টেকনোলজি আমাদের দেখানো হবে। কারণ এগুলো আমাদের দেশে কাজে আসতে পারে। এরপর সাংহাই থেকে সরাসরি দেশে ফিরে আসব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম