ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের জন্য আলাদা ওয়েজবোর্ড গঠন করে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)।
শনিবার ‘জুলাই
বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার
প্রেস সচিব ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালকের নিকট এ দাবি
উপস্থাপন করা হয়।
সমিতির পক্ষ
থেকে এ দাবি উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন। একইসঙ্গে অপ-সাংবাদিকতা
রুখতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলারও দাবি জানান
তিনি।
মাহতাব লিমন
বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের প্রতিটি মিডিয়া হাউস থেকে যেন যথাযথ সুযোগ সুবিধা
মূল্যয়ন করা হয় সেজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিয়ে
বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশে একটি সুস্থ
ধারার সাংবাদিকতার ভিত্তি চালু করতে হবে প্রেস ইনস্টিটিউটকে।
দাবির
প্রেক্ষিতে সেমিনারের বিশেষ আলোচক প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর
মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ
হাতে নিয়েছি। ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের নিয়ে আমরা আলাদা বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের
ব্যবস্থা নেব খুব শ্রীঘই।
সেমিনারের
প্রধান অলোচকের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী
লীগ আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। চোরতন্ত্র তৈরি
করেছিলেন শেখ হাসিনা। বড় বড় কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেওয়া ছিল তার কাজ। সে সময়
বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারা প্রতিষ্ঠিত
করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণ-অভ্যুত্থান হয়নি।
তিনি সতর্ক
করে দিয়ে বলেন, পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। এটা থেকে আমাদের
সচেতন থাকতে হবে যাতে কেউ আর কোনো ন্যারেটিভ তৈরি করতে না পারে।
জবি সাংবাদিক
সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
জবি সাংবাদিক
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, জবি শিক্ষক
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ
অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন।