Logo
Logo
×

জাতীয়

তাবলিগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ৯ দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম

তাবলিগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ৯ দাবি

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলিগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ উভয়পক্ষকে সিডিউল অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকায় অবস্থিত অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন ভূইয়া লিখিত বক্তৃতায় বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিকভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। 

এমনকি তাদের অনেক মসজিদে স্বাভাবিক আমলও করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনা দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ক্রমান্বয়ে ইজতেমা অনুষ্ঠান, কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন, দুপক্ষের বিদেশি মেহমান ও সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের আগমন, পুরোনো সাথীদের পাঁচ দিনের জোড় অনুষ্ঠান এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের মার্কাজ ও বিভিন্ন মসজিদে আমলের দিন ও সময় বণ্টনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাওলানা সাদ অনুসারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ সময় তাবলিগের বিবদমান সমস্যা সমাধানে ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়৷

প্রস্তাবগুলো হলো-

১. সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ৷

২. গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা৷

৩. উক্ত ঘটনায় গ্রেফতার করা নিরপরাধ কারাবন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া৷

৪. উভয়পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া৷

৫. উভয়পক্ষকে কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন সমান করা, অর্থাৎ এক মাস এক মাস করা৷

৬. টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ উভয়পক্ষকে সমানভাবে অর্থাৎ ছয় মাস ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন, জুলাই-ডিসেম্বর) করে ৫ দিনের জোড়, ইজতেমা ও অন্যান্য আমলের জন্য ভাগ করে দেওয়া৷

৭. দেশের অন্যান্য মসজিদে আমলের সময় সমবণ্টন অর্থাৎ পনেরো দিন পনেরো দিন করা৷

৮. কোনো পক্ষ মসজিদে আমলের সময় অন্যপক্ষকে বাধা না দেয়, তা পর্যবেক্ষণ ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

৯. পূর্ব-ঘোষিত তারিখ (৭-৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) অনুযায়ী মাওলানা সাদ অনুসারীরাদের ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মনিরুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শফিউল বারী এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এএনএম আসাদুজ্জামান ফকির প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম