৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন
সচিবালয়ের সামনে নিয়োগের দাবিতে বাদপড়ারা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদপড়া ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা বুধবার সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ পাওয়ার পরও দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে তারা কেন বাদ পড়েছেন তা জানতে চেয়েছেন। ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন থেকে ২৬৭ জন বাদ পড়েছেন।
বাদপড়া একাধিক চাকরিপ্রার্থী যুগান্তরকে জানান, নতুন চাকরিতে জয়েন করার আনন্দে আমরা ছিলাম। কিন্তু দেখি গেজেট থেকে আমরা বাদ পড়েছি। বাদ দেওয়ার কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উলেখ করেনি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছেÑঅথচ আমরা বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে কোনো মামলা না থাকলেও কেন বাদ দেওয়া হলো। এ বৈষম্য থেকে আমরা রেহাই চাই। বাদপড়াদের দ্রুত প্রজ্ঞাপন দেওয়ার অনুরোধ জানাই।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়Ñপিএসসির সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। এসব প্রার্থীকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চাকরিতে যোগ দিতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, যাচাই-বাছাই করে যাদের যোগ্য মনে করেছে তাদের নামে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। যাদের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য মিলেছে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের সরকারও অনেকের নিয়োগ ঝুলিয়ে দিয়েছিল, বর্তমানেও দেওয়া হচ্ছেÑতাহলে পার্থক্য কোথায় এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হতো। এখন নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগে পিএসসি ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ১০ মাস পর ১৫ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনে ৯৯ জন বাদ পড়ে। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে ২৬৭ জন বাদ পড়েছে। এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন বাদ পড়েছিল।