সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ বিএএসএ’র
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
![সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ বিএএসএ’র](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/12/26/Untitled-21-6701698f1312b-67630c924ece0-676d844da6193.jpg)
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আনোয়ার উল্ল্যাহ্ এবং মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বড় দিনের ছুটির পর রাতে জনমানবহীন অবস্থায় সংঘটিত ঘটনাটি সুপরিকল্পিত মর্মে বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে প্রতীয়মান হয়েছে। কারও কারও মতে, এ ধরনের নাশকতামূলক কাজের পেছনে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট তথা স্বৈরাচারের দোসররা এখনও কর্মরত রয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের অনেকের কাছে এখনও সচিবালয়ে প্রবেশের পাস থাকায় তারা সচিবালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে।
কাজেই স্বৈরাচারের দোসরদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সহযোগিতা ও প্রবেশের ফলে সংঘটিত ঘটনাটির সঙ্গে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সম্প্রতি সচিবালয় ঘিরে আনসার বিদ্রোহ এবং বিভিন্ন সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মানিত উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সমর্থিত আত্মগোপনে থাকা অপশক্তি সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় নানান ধরনেরর অপপ্রচার করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টাও লক্ষ্য করা গেছে। সার্বিক বিবেচনায় এই ঘটনার পেছনে দেশবিরোধী সেই চক্র জড়িত কিনা, সেটিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সচিবালয়কে স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করাও এখন জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে অপরিণামদর্শী ও অযৌক্তিক লেখালেখির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াসও চলছে। আমরা এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এহেন কাজ থেকে বিরত থাকাসহ জড়িতদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা দেশের তৃণমূল প্রশাসন থেকে সচিবালয় পর্যন্ত সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ক্রান্তিলগ্নে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, তখন থেকেই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসন ও সচিবালয়ে বিপ্লবী সরকারের এজেন্ডা এবং পলিসি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ সরকারকে স্থিতিশীল রাখতে এবং সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও জনমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাশা করছে— অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ স্বৈরাচার দোসরমুক্ত সচিবালয়ের কার্যক্রম সক্রিয় রাখার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হবে।