সিএজি কার্যালয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়কে নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
গণমাধ্যম পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএজি কার্যালয় জানায়, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সিএজি মো. নুরুল ইসলামের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার জন্যই তাকে এই দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি যথাযথ পেশাদারিত্ব ও নীতিমালা মেনে দায়িত্ব পালন করছেন।
সিএজি কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমান সিএজি-এর উদ্যোগে বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার ও হেল্পডেস্ক, অনলাইন সেবা ফিডব্যাক ব্যবস্থা। এসব উদ্যোগের ফলে পেনশনারদের সেবা দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং সেবার মান আরও উন্নত করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রকাশিত কিছু খবরে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোতে অডিট করানো হয়নি। সিএজি কার্যালয় এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।
তারা জানিয়েছে, পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল লিংক, এমআরটি, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এবং কক্সবাজার-দোহাজারী প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অডিট ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এসব অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিএজি কার্যালয় আরও জানায়, ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট বহিরাগত কিছু দুবৃত্ত সিএজি কার্যালয়ে ভাংচুর করে। পরে সিএজি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
বিভ্রান্তিকর সংবাদে উল্লেখ করা হত্যা মামলার বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলেও জানানো হয়। অভিযোগটি একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মিথ্যা প্রচারণার অংশ এবং এর সঙ্গে সিএজি বা তার কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রপতির কাছে ৪৫টি অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ১১,৯৭ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে ১৭টি অডিট অধিদপ্তরের শতাধিক টিম বর্তমানে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
সিএজি কার্যালয় অনুরোধ জানিয়েছে, সাংবিধানিক পদ ও প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুণ্ন করে এ ধরনের ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
সিএজি মো. নুরুল ইসলামের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতায় তার বিভাগের মধ্যে এবং বাইরেও সর্বজনস্বীকৃত। এমন একটি দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা সমাজের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।
এই ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সত্য তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সিএজি কার্যালয় তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।