জরিপের তথ্য
আন্দোলনে আহত ৭৫ শতাংশ ছাত্র-জনতা বিষণ্নতায় ভুগছেন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিত্সা নিচ্ছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। তাদের ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই বিষণ্নতার উপসর্গ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চিকিত্সকরা। বুধবার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ‘দৃষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক’ কর্মশালায় এ তথ্য জানান মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুনতাসীর মারুফ।
তিনি
জানান, ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে আহত হয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিত্সাধীন
৫৫ ব্যক্তির মানসিক অবস্থা নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি একটি জরিপ করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য
ইনস্টিটিউটের চিকিত্সকরা।
জরিপে
দেখা যায়, প্রায় ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশেরই বিষণ্নতার উপসর্গ রয়েছে। এক-চতুর্থাংশের ২৭ দশমিক
৩ শতাংশ বেশি রোগীর বিষণ্নতা খুবই তীব্র মাত্রার। প্রায় অর্ধেকের বেশি রোগীর মৃদু
থেকে খুবই তীব্র মাত্রার উদ্বেগ ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ ৫৮ দশমিক
২ শতাংশের উপসর্গ রয়েছে।
জাতীয়
মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের
মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য পুরুষ রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড এবং নারী রোগীদের
১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন অফিস সময়ে
অভু্যত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিশেষ কাউন্সেলিং/সাইকোথেরাপি সেবার
ব্যবস্থা রয়েছে।
কর্মশালায়
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের আহমেদের
সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা
বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এইচ ই এম রেজওয়ানুর রহমান
সোহেলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি
ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ।
কর্মশালায়
চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ছাত্র-জনতার চিকিত্সা ও বর্তমান অবস্থা বিষয়ে উপস্থাপনা করে হাসপাতালের
সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জরিপ প্রতিবেদন
উপস্থাপন করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রিস্ট)
ডা. মুনতাসীর মারুফ। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলোচনা করেন মানসিক স্বাস্থ্য
ইনস্টিউিটটের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডা. তৈয়বুর রহমান। জাতীয় নিউরো সায়েন্স
হাসপাতালের চিকিত্সক ডা. মাহফুজুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহজাবীন
হক প্রমুখ আঘাতপ্রাপ্তদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, পরিচর্যা ও পুনর্বাসনের ওপর আলোচনা
করেন। কর্মশালায় সিএমএইচ, ইস্পাহানি ইসলামিয়া, এনআইওএইচ, বিএসএমএমইউর চক্ষু বিশেষজ্ঞদের
নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।